আপনার লিংকটি তৈরী হচ্ছে
©সংগৃহীত
ভয়ংকর লাল ডায়েরি
লেখক: হিমালয় হিমু
পর্ব: ১
পর্ব: ১
আমি তিশা বাবা মার একমাত্র আদরের মেয়ে। আমি এবার ক্লাস ৬ পড়ি। আমার বয়স ১৩ বছর। আমি দেখতে খুবই কালো। আমি কালো বলে কেউ আমার সাথে মিশে না। সবাই আমাকে অবহেলা করে। আমি যদি কারও সাথে খেলতে যাই তারা ভূত ভূত বলে ভয়ে দৌড়ে পালায়। আবার আমি যদি কারও সাথে কথা বলতে যাই তারা সেখান থেকে চলে যায়।
আমার কোন বন্ধু নেই, আমি আমার বন্ধু। আগে এই বিষয় গুলো নিয়ে মন খারাপ হতো কিন্তু এখন আর হয় না। এখন আমি আমার সাথে খেলা করি আমি আমার সাথে কথা বলি।
আমি সহজে মাথা গরম করি না আমি খুব শান্ত একটা মেয়ে। কিন্তু আজ আমার মাথা থেকে ধোঁয়া বাইর হচ্ছে। কারণ আমাদের স্কুলের রিফাত নামের একটা ছেলে আমাকে ভিষণ অপমান করছে। আমি যখন স্কুলের গেট দিয়ে ঢুকছিলাম তখন ওরা চার পাঁচটা ছেলে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলো। আমাকে দেখে রিফাত ডাক দিলো।
আমি কাছে গেলাম মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলাম। হঠাৎ ছেলেটা আমার কাঁধ থেকে আমার স্কুলের ব্যাগটা নিয়ে যায়। তারপর স্কুলের ব্যাগের চেইন খুলে। আমার বই, খাতা, কলম, আমার টিফিনবাক্স সব ব্যাগ থেকে বাহির করে মাঠে ফেলে দেয়।
ওর সাথের ছেলে গুলো আমার টিফিনবাক্স খুলে আমার সব টিফিন খেয়ে ফেলে। তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বলে কিরে কালি দাঁড়িয়ে আছে কেন যা এখান থেকে। আর শোন এই কথা গুলো যদি কাউকে বলছিস তাহলে তোর খবর আছে যা এখান থেকে।
আমি কিছু না বলে কাঁদতে কাঁদতে বই, খাতা,কলম,টিফিনবাক্স স্কুলে ভড়ে নিয়ে সোজা বাসায় চলে আসি।
ওদের নিজেদের রুপ নিয়ে খুব অহংকার তাই না, আমি চাই। রিফাত এবং ওদের বন্ধুদের সকলের মাথার চুল পড়ে যাক ওরা যেনোও টাকলা হয়ে যায়। ওদের ফর্সা শরীর যেনোও কালো হয়ে যায়। ওদের সব কয়টা দাঁত যেনোও পড়ে যায়। ওরা যেনোও দেখতে খুব বিচ্ছিরি হয়ে যায়।
তাহলে বুঝবে অন্য কে নিয়ে মজা করলে কেমন লাগে ।
আজ আর লিখবো না এই পর্যন্তই।
ইতি
তিশা আক্তার।
তারিখ : 10/12/2021
এতোক্ষণ যে মেয়েটি ডায়েরিতে লিখছিলোও ওরা নাম তিশা। বাবা মার খুব আদরের মেয়ে। বাবা সফিউল, মাথা রিনা বেগম। বাবার পেশা সে একজন মুদি দোকান্দার। মাতা গ্রহীনি। স্বামী স্ত্রী দুইজন খুব সুন্দর কিন্তু তিশা কারও মতো হয়নি। তিশা দেখতে খুব বিচ্ছিরি হয়েছে। যেমন কালো তেমন তার বড়ো বড়ো চোখ। দেখতে ভূতের মতো লাগে বটে।
এতে বাবা মারর মোটেও মন খারাপ হয় না। তারা তাদের মেয়েকে রাজকন্যা ভাবে। মেয়ে যা চায় তাই এনে দেয়। বাবা প্রতি শুক্রবার ঘুরতে নিয়ে যায় অনেক মজা করে।
কিন্তু তিশা কে প্রতিবেশিরা মোটেও পছন্দ করে না। তাকে নিয়ে সবাই মজা করে। প্রতিবেশি ছেলে মেয়ে গুলো তার সাথে খেলতে আসে না। খেলতে নেয় না।প্রথম প্রথম তিশার খুব খারাপ লাগতো কান্না করতো মার সাথে। তখন মা বলতো ওরা তোর রুপ নিয়ে হিংসা করছে তাই তোমার সাথে খেলা করে না।
তুমি কষ্ট পেয়োও না তোমার যখন খেলতে ইচ্ছে হবে আমার কাছে চলে এসো আমি আর তুমি খেলা করবো। কিন্তু তিশা মার কাছে যেতো ও নিজে নিজে খেলতো নিজের সাথে কথা বলতো হাসতো। এমন করে তিশা দিন কাটতে থাকে।
একদিন তিশা স্কুল থেকে ফিরছিলেন হঠাৎ তার সামনে একটা লাল রঙের ডায়েরি পড়ে থাকতে দেখে। তিশা চারপাশে তাকিয়ে দেখে কারও ডায়েরি পড়ছে কি না। কিন্তু না চারপাশে সে কাউকে দেখতে পাচ্ছে না। তাই তিশা ডায়েরিটা উঠিয়ে হাতে নেয়।
তারপর যখন সে ডায়েরি টা খেলে হঠাৎ একটা কালো ধোঁয়া পৃষ্ঠা থেকে বাহির হয়ে ওর শরীরে ঢুকে যায়। হয়ে যায় তিশা অন্য রকম।সে দিন থেকে তিশা ঐ ডায়েরি তে যা লিখতো তাই পূর্ণ হতো।। যদি বলতো ঐ ছেলেটা আমাকে কষ্ট দিয়েছে আমি চাই ওর হাত পা ভেঙে যাক। সেটাই সাথে সাথে ফলে যেতো।
রিফাত ছেলেটা ছিলো তিশার ক্লাসমেট। খুব দুষ্ট প্রকৃতির ছিলো ছেলেটা। শুধু তিশা নয় আরও অন্য মেয়ে ছেলে কে সে কষ্ট দিতো। কিন্তু আজ সে ভুল জায়গায় মজা করছে। সে জানে না তিশা কোন সাধারণ মেয়ে নয় সে যা বলে তাই হয়।
রিফাত এবং তার বন্ধুদের বিষয় যা লিখেছে ডায়েরিতে তাই হয়েছে। রিফাত এবং তার বন্ধুদের ডাক্তার কবিরাজ সব দেখিয়েছে। তারপর ও তারা ঠিক হতে পারেনি। আর কোন দিন ঠিক হতে পারবে কি না কে জানে।
তিশা কি পারবে তার সাধারণ জীবনে ফিরে আসতে।
🔴 Steps to Get Link 🔗
Click Ad
1. Click on Ad ⬆
2. Wait for 5 seconds
3. Come Back Here
Ad Clicked! Please wait 5 seconds...
--------
