ভূত ও পিশাচ কাহিনী ছোট গল্প রংধনুর চোখ ত্রয়োদশ পর্ব

আপনার লিংকটি তৈরী হচ্ছে

---------

 আপনার লিংকটি তৈরী হচ্ছে




ব্রিঃদ্রঃ গল্পটিতে কপিরাইট রয়েছে। (সংগ্রহিত)
#Warning দুর্বল হৃদয়ের হলে পোষ্টটি Skip করতে পারেন।
গল্পঃরংধনুর চোখ
ত্রয়োদশ পর্ব 
আইদ সালামের পাঠানো সিগনাল অনুযায়ী শহর থেকে অনেকটা দূরে শুনশান এলাকায় চলে আসলো। রাত এখন প্রায় ২ টা বাজে। এদিকে মানুষজন বাসা-বাড়ি তেমন নেই বললেই চলে। রাস্তাটাও সম্পুর্ন ফাঁকা। মাঝে মাঝে বড় বড় ডিস্ট্রিক্ট ট্রাকগুলো পার হয়ে যাচ্ছে শো শো শব্দ করে। কিন্তু আশেপাশে এমন কিছুই চোখে পড়ছে না যেখানে ইমন শিকদার থাকতে পারে...!
আইদ নিজেকে শান্ত করলো। চোখ বন্ধ করে আশেপাশের প্রতিটা শব্দ আয়ত্ত করতে লাগলো। পোকা মাকড়ের ডাক গুলো আইদের কান ভেদ করে চলে যাচ্ছে। দূর থেকে কুকুরের ঘেউঘেউ শব্দ আসছে। আইদ  মন দিয়ে সালামের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে।
হঠাৎ সালামের কথা শুনতে পেলো আইদ। সালাম ফিসফিস করে বলছে " উস্তাদ আপনি সঠিক জায়গায় আছেন। সেখান থেকে বাম দিকে নেমে একটা ঝোপের মতো দেখতে পাবেন। সেই ঝোপের মাঝেই একটা দরজা আছে....!
এটা বলার পর আইদ চোখ মেলে তাকালো। সালামের সাথে সিগনাল কাট হয়ে গেলে আইদ সালামের কথামতো বাম দিকে নেমে একটু এগিয়ে যেতেই একটা ঘন লতাপাতায় ঘেরা ঝোপ দেখতে পেলো।
ধীরে ধীরে আইদ ঝোপের দিকে এগিয়ে গেলো। হঠাৎ কিছু একটার ওপর পা পড়তেই কট করে শব্দ হলো। কয়েকটা কালো রঙের পাখি ঝোপ থেকে ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে বের হয়ে এসে আইদের শরীরে আর চেহারায় খামচে দিলো। আইদ নিচ থেকে একটা শুকনো গাছের ডাল উঠিয়ে পাখিগুলোকে তাড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু সেগুলো চারদিক থেকে আইদের ওপর হিংস্র হয়ে আক্রমণ করছে। 


আইদ বুঝে গেলো এগুলো সাধারণ কোনো পাখি না। প্রতিটা পাখির চোখ লাল টকেটকে। আঁধারের মাঝেও আগুনের মতো জ্বলছে। আইদ চোখ বন্ধ করে কিছু একটা পড়ে হালকা মুচকি হাসলো। 
তারপর চোখ খুলে তাকালে দেখা গেলো আইদের চোখও ভয়ংকর রকম লাল হয়ে গিয়েছে। আইদের চোখ থেকে আগুনের রশ্মি বের হচ্ছে। 
একটা পাখি আইদের চোখের দিকে তেড়ে আসলো মুখ খুলে ডাক দিয়ে। আইদ খপ করে সেটার গলা ধরে শরীর থেকে আলাদা করে ফেললো।
এটা দেখে বাকি পাখিগুলো এবার নিজেদের রূপে ফিরে এলো। তারা মূলত ছিলো অশরীরী ছায়া। 
আইদ বললো " কি হলো। তোদের কি দাওয়াত দিয়ে আনতে হবে নাকি। আয় আমাকে মারবি না..!
তাদের মাঝে একজন ভয়ংকর ভাবে আইদের ওপর চড়াও হলে আইদ উল্টো ঘুরে তাকে পেছন থেকে ঘাড় মটকে দিলো টাস করে। 
সে নিচে পড়ে ধোঁয়ার মতো হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো। এটা দেখে বাকি গুলো ঘাবড়ে গিয়ে সেখান থেকে পালাতে লাগলো। আইদ দৌড়ে একেকটাকে ধরে ইচ্ছে মতো ধোলাই করে শেষ করে ফেললো। এবং হাত ঝেড়ে সেই ঝোপের দিকে এগিয়ে এলো। 
ঝোপের মাঝে দরজা টা খুলে ভেতরে প্রবেশ করতেই আইদ যেনো অন্য এক দুনিয়ায় পৌঁছে গেলো। চারদিকে রক্তলাল মাটির দেয়াল। আইদ ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে লাগলো। সালামের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। 
**এদিকে আমরা দেখতে পাই ইকরি এবং রাফসিয়া বেলকনিতে বসে আছে। হাকিম এবং হাবিবা বাইরে বসে গল্প করছে। যা ইকরি'রা দেখতে পাচ্ছে না।
হাকিম লক্ষ্য করলো রাফসিয়া বারবার তাদের দিকে তাকাচ্ছে আঁড় চোখে। 


হাকিম হাবিবা'কে বললো " আচ্ছা তুমি তো রাফসিয়া'র ওপর আক্রমণ করে তাকে জখম করেছিলে। তুমি তখন একটা খারাপ আত্মা ছিলে। তুমি প্রতিশোধের স্পৃহায় পাগল ছিলে। তাহলে তাকে একেবারে না মেরে আহত অবস্থায় ছেড়ে দিয়েছিলে কেন...?
হাবিবা রাফসিয়া'র দিকে একটু তাকিয়ে দেখলো সে ইকরি'র সাথে হেসে হেসে কথা বলছে। 
হাবিবা বললো " হাকিম ভাইয়া আমি কি বলবো জানি না তবে আমি রাফসিয়া'কে যেভাবে মেরেছি তাতে ওর বেঁচে থাকা কোনোভাবেই সম্ভব না। সত্যি বলতে আমিও অবাক হয়েছি ওকে জীবিত দেখে....!
হাকিম বললো " তার মানে তুমি বলতে চাচ্ছো রাফসিয়া'র বেঁচে থাকাটা একটা ম্যাজিক..?
হাবিবা বললো " হ্যাঁ। তবে আমি এটা নিয়ে তেমন মাথা ঘামাই নি কারণ মৃত্যু একমাত্র সৃষ্টিকর্তা-ই নির্ধারণ করে থাকে। উনি না চাইলে আমরা হাজার চেষ্টা করেও কারো দেহ থেকে রূহ বের করে আনতে পারবো না....!
হাকিম পিছনে বেলকনিতে তাকিয়ে দেখলো সেখানে ইকরি আর রাফসিয়া নেই। 
হাবিবাও তাকালো। সত্যি-ই তারা সেখানে নেই। এই মাত্রই তো ছিলো।
হঠাৎ সামনে থেকে কেউ বলে উঠলো " আমাকেই খুঁজছো তাই না....?
হাকিম এবং হাবিবা চমকে গিয়ে সামনে তাকিয়ে দেখলো রাফসিয়া দাঁড়িয়ে আছে। হাবিবা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো " রাফসিয়া তুই আমাদের দেখতে পাচ্ছিস...?
রাফসিয়া হাই তুলে মুখে হাত দিয়ে বললো " না দেখতে পাওয়ার কি আছে। তুই তো আমাকে নিজ হাতে মেরেছিস সেদিন। তবুও বিশ্বাস করতে পারছিস না....?
হাকিম বললো " তার মানে তুমি সেদিন সত্যি-ই মারা গেছো। তুমি রাফসিয়া'র আত্মা। তাহলে আমরা এটা কিভাবে বুঝতে পারলাম না....?


রাফসিয়া রহস্যময় এক হাসি দিয়ে বললো " হ্যাঁ আমি সেদিন হাবিবা'র হাতে মারা গিয়েছি। তবে ছোট্ট একটা ভুল আছে। আমি রাফসিয়া'র আত্মা না। রাফসিয়া'র আত্মাকে তো আমি সেদিন-ই তার জগতে পাঠিয়ে দিয়েছি....!
আচমকা পেছন থেকে ইকরি এসে রাফসিয়া'র গলায় ছুরি ধরে বললো " কে তুমি তাহলে....?
রাফসিয়া দুই হাত উঁচু করে আত্মসমর্পণের ভাব ধরে বললো " ও মাই ডিয়ার। তুমিও শুনে ফেলেছো। তবে আমি তোমাকে নিজেই জানাতে যাচ্ছিলাম এটা....?
ইকরি রেগেমেগে ছুরি রাফসিয়া'র গলায় আরো জোরে চেপে ধরে বললো " কথা ঘুরাবে না। কে তুমি বলো। রাফসিয়া কোথায়....?
রাফসিয়া তার শরীর না ঘুরিয়েই শুধু ঘাড় টা ইকরি'র দিকে পুরোটা ঘুরিয়ে ভয়ংকর এক হাসি দিয়ে বললো " আমি চাঁদের পরী'দের আজরাইল। জ্বীন রাজ্যের মহামান্য রাজা....।
**এদিকে আমরা দেখতে পাই রাফসিয়া-দের পুরো বাসায় পঁচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। রাফসিয়া'র আব্বু আম্মু পুরো বাসা তন্নতন্ন করে খুঁজছে কেথায় কি মরে পড়ে আছে। খুঁজতে খুঁজতে রাফসিয়া'র রুমে গিয়ে বড় আলমারি টা খুলতেই রাফসিয়া'র আম্মু জোরে চিৎকার করে বেহুশ হয়ে ফ্লোরে পড়ে গেলো।
রাফসিয়া'র আব্বু দৌড়ে এসে দেখলো আলমারি তে একটা বিকৃত পঁচা গলা মরাদেহ হাত পা ভেঙে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে। রাফসিয়া'র আব্বু এখনো বুঝতে পারছে না এটা কার লাশ। নাক মুখ রুমাল দিয়ে পেঁচিয়ে লাশটার দিকে এগিয়ে গিয়ে হাতের দিকে তাকাতেই একটা আংটি দেখে বুঝে গেলো এটা আর কেউ না বরং রাফসিয়া'র মৃতদেহ। 


রাফসিয়া'র আব্বুও তার আদরের মেয়ের এই অবস্থা দেখে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলো না। চিৎকার দিয়ে ফ্লোরে বসে পড়লো। তার চিৎকারে পাড়া প্রতিবেশী সবাই চলে আসলো। কেউ তাদের নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না কারণ বিকেলেই রাফসিয়া'কে দেখা গেছে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে। তাহলে এটা কিভাবে সম্ভব। এটা রাফসিয়া হলে সে কে ছিলো। আর সে রাফসিয়া হলে এটা কার লাশ। কেউ কোনো হিসাব মিলাতে পারছে না......!
**এদিকে আমরা দেখতে পাই ইমন শিকদার ইকরি'র রূপি সালাম'কে এখনো চিনতে পারে নি। সে ইকরি'র রূপি সালাম'কে সমানে বসিয়ে কিছু মন্ত্র তন্ত্র পড়ছে এবং একটা ধূপ কাঠি থেকে ইকরি'র চেহারায় ধোঁয়া দিচ্ছে। ইকরি'র রূপি সালাম ধীরে ধীরে পুরোপুরি ইমন শিকদারের বশীভূত হয়ে গেলো। ধোঁয়ার নেশায় সালামের নিজের কোনো হুশ নেই।
ইমন শিকদার শয়তানি এক হাসি দিয়ে বললো " ইকরি তুমি এখন সম্পুর্ন ভাবে আমার গোলাম। আমি যা বলবো তাই করবে...?
ইকরি হাত উঠিয়ে সায় দিলো ইমন শিকদারের কথায়। ইমন শিকদার চোখ বন্ধ করে অনুভব করলো আইদ তার এখানে ইতিমধ্যে প্রবেশ করেছে। সে ধীরে ধীরে এদিকেই আসছে। ইমন শিকদার একটু মুচকি হেসে বললো " ইকরি তোমার জন্য আমার প্রথম হুকুম হচ্ছে এখন এখানে একটা ছেলে আসবে। সে তোমাকে নিজের কাছে যেতে বলবে। তুমি তার কাছে যাবে এবং পেছন থেকে তার পিঠে ছুরি ঢুকিয়ে দিবে....!
এই বলে ইমন শিকদার ইকরি'র হাতে একটা ছুরি দিয়ে বললো " এটা নিজের মাঝে লুকিয়ে রাখো। সঠিক সময়ে আমি যেটা বলেছি সেটা পালন করবে...!
ইকরি মাথা নুইয়ে রোবটের মতো বললো " ঠিক আছে মালিক....!
**এদিকে রাফসিয়া'র রূপে থাকা জ্বীন রাজা সত্যিকারের ইকরি'কে বেঁধে ফ্লোরে ফেলে রেখেছে। পাশেই হাকিম এবং হাবিবা'র আত্মা অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে।
ইকরি দাঁত কটমট করে বললো " এতোদিন তুমি কিভাবে সবাইকে ধোকা দিলে। এমন কি আইদও তোমার আসল রূপ ধরতে পারে নি। কিভাবে করলে এটা....?
জ্বীন রাজা হেসে বললো " আমি কোনো এরা গেরা না ইকরি। আমি জ্বীন রাজা। এতটুকু ক্ষমতা তো আমার আছেই। একটু তো ইজ্জত দাও আমাকে....!
ইকরি তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বললো " ইজ্জত আর তুমি। তুমি যদিন জন্ম নিছো সেদিন সেদিন তোমার বাবা মায়ের কাছে সবাই জিজ্ঞেস করছে কি হয়েছে। ছেলে নাকি মেয়ে।
তোমার বাবা মা বলছে বেইজ্জতি হয়েছে....!
এটা শুনে জ্বীন রাজা রেগে আগুনের মতো লাল হয়ে ইকরি'কে এক লাতি মেরে উড়িয়ে দেয়ালের সাথে বারি দিলো। ইকরি নিচে থাকা কাঁচের টেবিলের ওপর পড়লো। ইকরি অনেক আহত হলো। । 


জ্বীন রাজা একদম ইকরি'র সামনে গিয়ে বসে বললো " আমি আমার জাতিকে রক্ষা করার জন্য চাঁদের পরী'দের মেরে ফেলেছিলাম। কিন্তু তারা আবার পুনর্জন্ম নেয়ার জন্য তৈরী হয়ে গিয়েছে। আমি এটা হতে দিতে পারি না। আমি শুধু সুযোগ খুঁজছিলাম। এখন আইদ আর ইমন শিকদার মুখোমুখি হবে। তাদের মাঝে যে কোনো একজন বাঁচবে। যে বাঁচবে আমি তাকে মেরে ফেলবো। বাকি থাকলো ফারদিন চৌধুরী। সে আপাতত চুপচাপ বসে খেলা এনজয় করছে। কারণ সে-ও অপেক্ষায় আছে ইমন শিকদার আর আইদের মাঝে যে কোনো একজন মারা যাক। তাহলে সে তার পুরো শক্তি নিয়ে আত্মপ্রকাশ করবে.....!
ইকরি রক্ত মাখা মুখ থেকে থুথু ফেলে অস্পষ্ট ভাষায় বললো " তুমি কি তোমার জাতিকে বাঁচানোর জন্য চাঁদের পরী'দের মেরে ফেলেছো। কিন্তু এই চাঁদের পরীগুলোরও তো জীবন ছিলো তাই না। মৃত্যু যন্ত্রণা তাদেরও হয়। কথা তোমার জাতিকে বাঁচানোর জন্য নিজের ইচ্ছে তে বলি হয়েছিলো। কারণ তার একটা মন ছিলো। যা তোমার মাঝে নেই। তুমি এক হৃদয়হীন পাষান রাজা.....!
এটা শুনে জ্বীন রাজা নিজের মাঝে একটু কষ্ট অনুভব করলো। ইকরি তো ঠিক-ই বলেছে। চাঁদের পরী'রা নিজের ইচ্ছেতেই বলি হয়েছিলো। শুধু ফারদিন চৌধুরীর চাঁদের পরী'কে জোর করে বলি দেয়া হয়েছিলো। কারণ সে ছিলো বদ আত্মা বিশিষ্ট। 
জ্বীন রাজা ইকরি'র চেহারার রক্ত গুলো মুছে দিয়ে বললো " আমার কি করা উচিত ছিলো তাহলে। নিজের জাতিকে নিঃশেষ হয়ে যেতে দেখা....!
ইকরি বললো " না রাজা মশাই। তবে আপনার এমন কোনো উপায় খোঁজা উচিত ছিলো যাতে চাঁদের পরী'দের বাঁচিয়ে রেখেই আপনার জাতিকে কিভাবে বাঁচানো যায়। চাবি ছাড়া কোনো তালা হয় না। তেমনি সমাধান ছাড়া কোনো সমস্যা হয় না। আপনি হয়তো এটা সমাধান করার এই একটা উপায়-ই জানেন। অন্য কোনো উপায় খোঁজার চেষ্টা-ই করেন নি....!


জ্বীন রাজা চিন্তিত হয়ে বললো " আমি এভাবে ভেবে দেখি নি। তাহলে কি চাঁদের পরী'কে বাঁচিয়ে রেখে আমার জাতিকে বাঁচানো সম্ভব...?
ইকরি বললো " হ্যাঁ রাজা। আমার বিশ্বাস অন্য কোনো উপায় অবশ্যই আছে। আপনি খুঁজে বের করেন দয়া করে.....!
জ্বীন রাজা ইকরি'র সারা শরীরে এক হাত বুলিয়ে দিলো। সাথে সাথে ইকরি'র সব ক্ষত স্থান নিরাময় হয়ে গেলো। ইকরি উঠে বসে পড়লো।
জ্বীন রাজা গিয়ে বেহুশ হয়ে পড়ে থাকা হাকিম এবং হাবিবা'র জ্ঞান ফিরালো।
হাকিম উঠেই ব্রুসলির মতো কুংফু স্টাইলে হাত উঠিয়ে বললো " খবরদার নড়াচড়া করবেন না। আমি সবাইকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলেছি। 
ওপপস সরি আমি সবাইকে একপাশ থেকে ঘিরে ফেলেছি....!
জ্বীন রাজা হাসতে হাসতে বললো " তোমার সাথে অন্য কোনোদিন ফাইট হবে বাছা। এখন আমার যেতে হবে। তবে তোমরাও আমার সাথে যাবে...!
ইকরি বললো " আমরা যাবো মানে। কেন..?
জ্বীন রাজা বললো " যদি কোনো কারণে অন্য কোনো উপাশ খুঁজে না পাই তাহলে আমাকে সেটাই করতে হবে যেটা আর আগে করেছি। ইকরি'কে মরতে হবে...!
হাকিম বাঁধা দিতে চাইলে ইকরি বললো " ঠিক আছে আমরা যাচ্ছি আপনার সাথে। একজন রাজার ওপর বিশ্বাস করা-ই যায়। রাজা রা কখনও কারো বিশ্বাস ভঙ্গ করে না। আমার বিশ্বাস আপনি আপনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন.....!


জ্বীন রাজা একটু হেসে বললো " কথা দিলাম। আমি চাই না আবার আমার হাতে কারো মৃত্যু হোক....!
**এদিকে আমরা দেখতে পাই আইদ খুঁজতে খুঁজতে সেখানে পৌঁছে গিয়েছে যেখানে ইমন শিকদার ইকরি'র রূপি সালামকে নিজের বশে করে রেখেছে।
ইমন শিকদার আইদ'কে দেখেই বললো " ওয়েলকাম মাই  অলমাইটি। আমি তোমার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম...! 
আইদ বললো " না না ইমন শিকদার। তুমি অপেক্ষা করছিলে তোমার শেষ দেখার জন্য। আমি এসেছি তোমাকে শেষ করার জন্য...! 
ইমন শিকদার হেসে বললো " গিভ আপ। আমি হাল ছেড়ে দিয়েছি আইদ। তুমি ইকরি'কে নিয়ে যাও। আমি নিজেই চলে যাচ্ছি। কারণ আমি জানি ইকরি'র মাঝে শুধু কথা'ই ফিরে আসতে পারবে। তাই আমার মন ভেঙে গিয়েছে...! 
আইদ একটু অবাক হলো। কারণ ইমন শিকদার এতো সহজে হার মেনে নিবে এটা আইদ ভুলেও ভাবে নি। আইদ ইকরি'র রূপি সালাম'কে চোখের ইশারায় ডাক দিয়ে তার কাছে যেতে বললো। কারণ আইদ সন্দেহ করছিলো ইমন শিকদার কিছু একটা তো প্ল্যান করে রেখেছে। কিন্তু কি সেটা। আগে সালাম'কে তার কাছ থেকে দূরে আনতে হবে। 
ইমন শিকদার অদ্ভুতভাবে বললো " যাও ইকরি। আইদ তোমাকে তার কাছে ডাকছে। যাও নিজের দায়িত্ব পালন করো....!
ইকরি এক ঝটকায় উঠে হেঁটে গিয়ে আইদের পেছনে দাঁড়ালো। আইদ বললো " সালাম তুই ঠিক আছোস তো....?
এটা শুনে ইমন শিকদার অবাক হয়ে বললো " সালাম মানে.....!


তখন-ই ইকরি'র রূপি সালামের কানে বাজতে লাগলো সেই কথা " সে এখানে আসলে তার পিঠে ছুরি ঢুকিয়ে দিবে । 
সালাম মন্ত্রমুগ্ধের মতো লুকিয়ে রাখা ছুরি টা বের করে ধাপ করে আইদের পিঠে ঢুকিয়ে দিলো............
To be continue......... 
Galib_Abraar

🔴 Steps to Get Link 🔗
এই লিঙ্কটি পেতে চাইলে আগে নিচের বিজ্ঞাপনটি ক্লিক করুন।

Click Ad

1. Click on Ad ⬆
2. Wait for 5 seconds
3. Come Back Here

Ad Clicked! Please wait 5 seconds...


--------