পুরুষ প্রেমের গল্প রংধনুর চোখ একাদশ পর্ব

আপনার লিংকটি তৈরী হচ্ছে

---------
ব্রিঃদ্রঃ গল্পটিতে কপিরাইট রয়েছে। (সংগ্রহিত)
⚠ #Warning : দুর্বল হৃদয়ের হলে পোষ্টটি Skip করতে পারেন।
গল্পঃরংধনুর চোখ
একাদশ পর্ব 
রাফসিয়া তার আব্বু'র কাছে তার দাদুর মানে ইমন শিকদারের অতীত সম্পর্কে জানতে চাইলো। প্রথমে রাফসিয়া'র আব্বু বলতে না চাইলেও রাফসিয়া'র জোরাজুরি'তে বলতে বাধ্য হলো।
রাফসিয়া'র আব্বু বলা শুরু করলো " ইমন শিকদার খুব-ই সাধারণ একজন মানুষ ছিলো। লাইব্রেরী'তে কাজ করে তার দিনকাল খুব ভালোভাবেই কেটে যাচ্ছিলো। কিন্তু হঠাৎ তার জীবনে আসে রান্তিয়া নামের এক অপরূপ সুন্দরী মেয়ে। মেয়েটা রোজ লাইব্রেরী'তে আসতো বই পড়ার জন্য। দেখতে দেখতে মেয়েটার সাথে ইমন শিকদারের একটা ভালো সম্পর্ক হয়ে যায়। এক পর্যায়ে এই সম্পর্ক প্রেমের সম্পর্ক পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু ইমন শিকদার রান্তিয়া'র মাঝে কিছু অলৌকিক শক্তি খেয়াল করে আস্তে আস্তে। যেমন খুব দ্রুত এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় চলে যাওয়া, মোটা মোটা বই মূহুর্তেই পড়ে শেষ করে ফেলা, শীতের সময় যেখানে মানুষ ভারি ভারি জ্যাকেট গায়ে দিয়ে রাখতো সেখানে রান্তিয়া সামান্য একটা পাতলা জামা গায়ে দিয়ে দিব্যি থাকতে পারে। আরো কিছু সিম্বল লক্ষ্য করলো। এটা নিয়ে ইমন শিকদার রান্তিয়া'কে প্রশ্ন করলে সে বরাবরই এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতো। কিন্তু একদিন ইমন শিকদার জেদ করে বসলো এই রহস্য জানার জন্য। তখন রান্তিয়া যা বলেছিলো সেটার জন্য ইমন শিকদার মোটেও প্রস্তুত ছিলো না।
রান্তিয়া ছিলো একজন চাঁদের পরী। যে জ্বীন জাতির জন্য অনেক বড় হুমকি স্বরূপ। তাই জ্বীনেরা কখনও চায় না রান্তিয়া বেঁচে থাকুক। রান্তিয়া জন্মের পর থেকেই বেঁচে থাকার জন্য জ্বীন জাতির সাথে লড়াই করে আসছে। 
এটা শুনে ইমন শিকদার অবাক হলেও পর মূহুর্তে নিজেকে শান্ত করে রান্তিয়া'কে ভরসা দিলো সে সব সময় তার পাশে থাকবে। যাই হয়ে যাক চন্দ্রগ্রহণ পর্যন্ত রান্তিয়া'কে বাঁচিয়ে রাখবে ইমন শিকদার। রান্তিয়াও অনেক খুশি ছিলো সেদিন। অন্তত এমন একজন তো আছে যার ওপর সে ভরসা করতে পারে।
একদিন রাতে ইমন শিকদার আর রান্তিয়া লাইব্রেরী থেকে নিজেদের বাসায় ফিরছিলো। তারপর দিন-ই ছিলো কাঙ্ক্ষিত চন্দ্রগ্রহণের রাত। হঠাৎ কিছু কালো পোশাক ধারী অশরীরী তাদের পথ আঁটকায়। 
রান্তিয়া বুঝে যায় এরা কারা। তাই সে ইমন শিকদার'কে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে বলে। কিন্তু ইমন শিকদার রান্তিয়া'কে একা রেখে কোনোভাবেই যাবে না।
কালো পোশাকধারী একজন বললো " রান্তিয়া তোমার এই মানব বন্ধুর সাথে আমাদের কোনো হিসেব নেই। তাকে তার মতো ছেড়ে দাও। আমরা এসেছি তোমাকে নিয়ে যেতে...!
ইমন শিকদার রান্তিয়া'কে তার পিছনে লুকিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে বললো " আমি বেঁচে থাকতে রান্তিয়া কোথাও যাবে না....!
একজন বললো " তাহলে তোমাকে মেরেই নিয়ে যাবো। 
বাংলাদেশে ছেলে ছেলে বিয়ে গে ভালোবাসা উভকামী গল্প ভালোবাসা গল্প সমপ্রেম গল্পের লিংক
এই বলে সে ইমন শিকদারের দিকে এগিয়ে এলে পেছন থেকে রান্তিয়া ইমন শিকদারের মাথায় আঘাত করে তাকে অজ্ঞান করে ফেললো এবং তাদের উদ্দেশ্যে বললো " আমি তোমাদের সাথে আসছি। কিন্তু ওর যদি কোনো ক্ষতি করো তাহলে তোমাদের সামনে রান্তিয়া'কে পাবে না বরং চাঁদের পরী'কে পাবে....!
তারা পিছিয়ে গেলো। রান্তিয়া ইমন শিকদারের কাছে হাঁটু গেড়ে বসে কান্না করতে করতে বললো " আমাকে মাফ করে দিও। এ ছাড়া আমার আর কোনো রাস্তা নেই। কিন্তু তোমার কাছে আমাকে ফিরিয়ে আনার রাস্তা আছে। যদি তুমি সেটা করতে পারো তাহলে আমি আর কখনও তোমার কাছ থেকে হারাবো না। আমি রংধনুর দুনিয়ায় তোমার জন্য অপেক্ষা করবো ইমন। আমি জানি তুমি আসবে। তোমাকে আসতেই হবে।
এই বলে রান্তিয়া ইমন শিকদারের কপালে চুমু এঁকে দিয়ে চোখের পানি মুছে উঠে দাঁড়িয়ে বললো " চলো এখন। তোমাদের দেরি হয়ে যাচ্ছে....!
রান্তিয়া কালো পোশাকধারী অশরীরী-দের সাথে হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো.....!
**রাফসিয়া'র আব্বু এই পর্যন্ত বলে থামলো। রাফসিয়া সব শুনে বললো " তাহলে দাদু পরে বিয়ে করেছিলো তাই না..?
রাফসিয়া'র আব্বু বললো " হ্যাঁ বিয়ে করেছিলো কিন্তু তবুও সে চাঁদের পরী'কে ফিরিয়ে আনার জন্য জীবনের শেষ অব্ধি চেষ্টা করেছিলো। তবে এটা সম্ভব ছিলো না। কারণ যার মাধ্যমে তাকে ফিরিয়ে আনা যেতো সে তখনও জন্ম-ই নেয় নি। 
রাফসিয়া বুঝতে পারলো সে-ই মাধ্যমটা হচ্ছে ইকরি। তাই এখন তার দাদু আবার ফিরে এসেছে ইকরি'র মাধ্যমে তার চাঁদের পরী'কে ফিরিয়ে আনতে। 
রাফসিয়া জিজ্ঞেস করলো " আচ্ছা আব্বু দাদুর সবচেয়ে বড় দূর্বলতা কি ছিলো...?
রাফসিয়া'র আব্বু একটু ভেবে বললো " তোর দাদুর সবচেয়ে বড় দূর্বলতা ছিলো তার ঘুম। তার সামনে জোরে কোনো শব্দ হলেই সে ভয় পেয়ে ঘুমিয়ে যেতো। তার উচ্চ শব্দে এলার্জি ছিলো....!
**এদিকে আমরা দেখতে পাই হাকিম এবং সালাম একটা পরিত্যক্ত বাড়িতে এসেছে। 
সালাম বললো " উস্তাদ জানলো কিভাবে ইমন শিকদার ইকরি ম্যাডামের আম্মু'কে এখানেই রেখেছে...?
হাকিম বললো " সে জানে। এই জন্যই সে উস্তাদ। তুই মুরীদ হয়ে এতো কিছু চিন্তা করার দরকার নেই। আশেপাশে খেয়াল রাখতে হবে। ইমন শিকদার পদে পদে ফাঁদ বিছিয়ে রাখতে পারে....!
সালাম বললো " আমরা তো আত্মা। আমাদেরকে কি ফাঁদে আঁটকে রাখা যাবে নাকি।
বলতে না বলতেই একটা ছায়ামূর্তি এসে সালামের ঘাড়ে চড়ে বসলো এবং সালামের গলা চেপে ধরলো। সালাম চিৎকার করে বললো " হাকিম এইডারে নামা আমার ঘাড় থেকে...!
হাকিম এক ঝটকায় গিয়ে ছায়ামূর্তি'কে ধরে ঘুরিয়ে ফেলে দিলো এবং বললো " তোরে বলছিলাম চারদিকে লক্ষ্য রাখতে। ইমন শিকদারও একটা আত্মা। সে জানে আত্মাদের কিভাবে ফাঁদে ফেলতে হয়...!
সালাম শার্টের হাতা ভাজ করতে করতে বললো " এবার আয় কে আসবি। রুটির মতো পিষে ফেলবো।
তখন-ই ভিতর দিক থেকে একটা মহিলার আর্তনাদ ভেসে আসলো। সালাম আর হাকিম তাড়াতাড়ি সেদিকে গেলো ইকরি'র আম্মু মনে করে।
তারা গিয়ে দেখলো একটা মহিলা দেয়ালের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে অদ্ভুত এক ভাষায় কি যেনো বলছে বিড়বিড় করে। 
সালাম আর হাকিম দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে তার দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো। হাকিম ডাক দিলো " আন্টি.....! 
সে কোনো সারা দিলো না। সালাম ডাক দিলো " খালাম্মা এটা কি আপনি...?
এবারও কোনো সারা নেই। তাই হাকিম গিয়ে আস্তে করে তার কাঁধে হাত রাখতেই সে ভয়ংকর ভাবে গর্জন করে পেছনে তাকালো। এটা ছিলো একটা অপ আত্মা।
সে হাকিমকে ধাক্কা দিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দিলো। হাকিম গিয়ে দেয়ালের সাথে বারি খেলো। সালাম এগিয়ে গেলে সালামকেও আঘাত করে ফেলে দিলো।
হাকিম বললো " কিরে তুই না রুটির মতো পিষে ফেলবি। এখন করছিস না কেন...?
সালাম বললো " বেলুন পিঁড়ি আনতে ভুলে গেছি ভাই। এখন আপাতত দুজন মিলে ভাত খাই চল।
এই বলে দুজন মিলে ঐ অপ আত্মার সাথে লড়াই করতে লাগলো।
মার খেয়ে সালাম বললো " আমি মহিলাদের গায়ে হাত তুলি না। পারলে বেডা মানুষের আকৃতি ধারণ করে আয়....!
এটা বলার সাথে সে ভয়ংকর এক পুরুষ আকৃতি ধারণ করলো। 
হাকিম বললো " এটা বলা কি জরুরি ছিলো। মহিলাই তো ভালো ছিলো। এটা তো আরো ভয়ংকর...!
সে আরো ভয়ানক ভাবে আক্রমণ করলো সালাম আর হাকিমের ওপর। অনেকক্ষণ লড়াইয়ের পর এক পর্যায়ে অপ আত্মা'কে ঘায়েল করতে সক্ষম হলো। 
হাকিম তাকে পেছন থেকে এমন ভাবে ধরেছে যে সে আর কোনোভাবেই নিজেকে ছাড়াতে পারলো না।
সালাম সামনে এসে হাঁপাতে হাঁপাতে বললো " অনেক জ্বালাইছোস। এখন ভালোয় ভালোয় বলে দে তাকে কোথায় রেখেছিস....!
অপ আত্মা ভয়ংকর এক হাসি দিয়ে বললো " বলবো না। তোরা তো আত্মা নামের কলঙ্ক। নিজেরা এতো শক্তিশালী হওয়ার পরও একটা সাধারণ ছেলের গোলামী করিস৷ ধিক্কার জানাই তোদের ওপর....!
সালাম তার নাক বরাবর একটা মেরে বললো " আমরা তার গোলামী করি না। আমরা তাকে সাহায্য করি। সে আমাদের ভাই। তোর মতো এসব আকাম ছাকাম করে বেড়াই না আমরা। আমাদের দ্বারা সাধারণ মানুষের কোনো ক্ষতি হয় না....!
হাকিম বললো " নো মোর ডিসকাশন। জাস্ট টেল মি হোয়ার ইজ দ্যাট আন্টি টাইপ মহিলা....?
সালাম অবাক হয়ে বললো " হাকিম তুই আরবী ভাষা কবে শিখলি। আমি তো জানতাম না...!
হাকিম বললো " গাধার বাচ্চা এটা আংরেজি ভাষা। বেঁচে থাকতে ছোট বেলায় তো আমি ডাক্তার ছিলাম। তাই এসব আংরেজি আমার ঠোঁটের আগায় থাকে....!
সালাম বললো " তুই আবার কিসের ডাক্তার ছিলি তাও আবার ছোট বেলায়..?
হাকিম বললো " আমি বাচ্চাদের ডাক্তার ছিলাম। আর ছোট বেলা থেকেই পড়া লেখার প্রতি আমার তেমন আগ্রহ ছিলো না। তাই বাবা মা জোর করে ডাক্তার বানিয়ে দিয়েছিলো...!
সালাম রেগে বললো " ধূর মফিজ। পড়া লেখা ছাড়া তুই ডাক্তার হইলি কেমনে...!
হাকিম মাথা চুলকে বললো " কস কি। ডাক্তার হতে হলে পড়া লেখা করতে হয় নাকি। আমি তো ভাবছি হাতের লেখা খারাপ হলেই হয়....!
এদের প্যাচাল শুনে অপ আত্মা চিৎকার করে বললো " মাফ কর ভাই। তোরা যাকে খুঁজছিস সে বিল্ডিং-এর পিছনে একটা ছোট রুমে বন্দী। তাকে নিয়ে এখান থেকে চলে যা। না হলে তোদের বগর বগর শুনতে শুনতে আমার কান ঝালাপালা হয়ে যাবে....!
হাকিম বললো " কাজের কথা এতো দেরি করে বলোস কেন। 
এই বলে তার মাথায় আঘাত করে তাকে সেখানে ফেলে রেখে চলে গেলো বিল্ডিংয়ের পিছনে। 
গিয়ে দেখলো সত্যি-ই একটা মহিলাকে বেঁধে রাখা হয়েছে সেখানে। যেহেতু সালাম এবং হাকিম ইকরি'র আম্মু-কে আগে কখনও দেখে নি তাই তারা ভেবে নিলো এটাই ইকরি'র আম্মু। সে তখন অজ্ঞান অবস্থায় ছিলো তাই সালাম আর হাকিম তাকে উঠিয়ে বাসায় রওয়ানা হলো.....!
**এদিকে আইদ তার তন্ত্রমন্ত্রের কক্ষে বসে একটা রিচুয়াল করছে। সারা ঘর ধোঁয়া দিয়ে পরিপূর্ণ। আইদ ফ্লোরে আসন পেতে চোখ বন্ধ করে বসে আছে। 
হঠাৎ আইদ চোখ খুললো ঠাস করে। সে দেখলো একটা অদ্ভুত জায়গায় চলে এসেছে। চারদিকে শুধু রঙ বেরঙের গাছ পালা। এ যেনো এক রংধনুর শহর। আইদ চিৎকার করে ডাকলো " কেউ আছেন...?
তখনই একটা মেয়ের চিকন কন্ঠে হাসি ভেসে আসলো। আইদ বললো " কথা.......
এটা তো কথা'র হাসি। কথা তুমি কোথায়৷ সামনে আসো। আমি তোমাকে দেখতে চাই। কথা আর লুকোচুরি খেলো না। আমি তোমাকে অনেক মিস করি। প্লিজ দেখা দাও একবার.....!
কিন্তু আর কোনো শব্দ আসলো না। আইদ এদিক ওদিক ছুটেও কাউকে দেখতে পেলো না। এক পর্যায়ে ক্লান্ত হয়ে হাঁটু গেড়ে বসে পড়লো মাথা নিচু করে। 
তখনই-ই আইদ তার সামনে কারো উপস্থিতি টের পেলো। তার পায়ের নুপুরের ঝুনঝুন শব্দ কানে আসতে লাগলো। 
আইদ ধীরে ধীরে মাথা উঠিয়ে এক জোড়া সুন্দর পা দেখতে পেলো নুপুর পড়া। চোখ তুলে উপরে তাকিয়ে দেখলো কথা তার সেই মন পাগল করা হাসি নিয়ে হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে। 
আইদ মুগ্ধ হয়ে কথা'র দিকে তাকিয়ে তার হাতে হাত রাখলো। কথা এক টানে আইদ'কে উঠিয়ে জড়িয়ে ধরে বললো " এতো দেরি হলো কেন আসতে....?
আইদ যেনো বিশ্বাস-ই করতে পারছে না। আইদ আনমনে বলে উঠলো " রাস্তায় অনেক ট্রাফিক ছিলো তাই আসতে দেরি হয়ে গেলো। 
কথা ফিক করে হেসে বললো " সমস্যা নেই। সূর্যাস্ত এখনো বাকি আছে। রংধনুর দুনিয়ায় প্রতি ১০০ বছর পর পর সূর্যাস্ত হয় একবার। পৃথিবীর ১০ বছর সমান এখানের ১০০ বছর। তোমার মনে হয়েছে আমি ১০ বছর ধরে তোমার থেকে দূরে তাই না। কিন্তু আমি তো গত ১০০ বছর ধরে তোমার পথ চেয়ে তাকিয়ে আছি। 
আইদ বললো " এখন-তো চলে এসেছি। আমি আর কোনোদিন তোমাকে ছেড়ে যাবো না...!
কথা হেসে বললো " এই আসা টা তোমার স্বপ্ন আইদ। ইকরি'কে প্রস্তুত করে তোমাকে আসতে হবে আমাকে নিয়ে যেতে সূর্যাস্তের আগে। পৃথিবীর দিন অনুযায়ী আর ১০ দিন পর এখানে সূর্যাস্ত হবে। তার আগেই আমাকে পুনর্জন্ম নিতে হবে আইদ। না হলে আর কখনও তোমার সাথে আমার দেখা হবে না....!
আইদ অস্থির হয়ে বললো " আমি সেটা কখনোই হতে দিবো না। আমি ইকরি'কে রাজি করিয়ে আসবো তোমাকে নিয়ে যেতে। তুমি ভালো থেকো....!
কথা একটু চিন্তিত হয়ে বললো " এখন হয়তো জেনে গিয়েছো আমি ছাড়াও আরো দুইজন চাঁদের পরী আছে। তারাও অপেক্ষা করে আছে পুনর্জন্ম নেয়ার জন্য। তবে তাদের রক্ষক এখন জীবিত নেই। একজন হলো ইমন শিকদার আরেকজন ফারদিন চৌধুরী। তারা তোমার চেয়ে শক্তিতে দূর্বল হলেও ইমন শিকদার বুদ্ধিতে তোমার থেকে অনেক এগিয়ে। তাই সব সময় শক্তি কাজে না লাগিয়ে বুদ্ধি ব্যবহার করবে কিছু জায়গায়....!
আইদ বললো " আমি জানি সেটা। তুমি কোনো চিন্তা করো না৷ আমি এরপরের বার পুরো প্রস্তুতি নিয়েই আসবো তোমাকে নিয়ে যেতে। 
কথা এক ভুবন ভুলানো হাসি দিয়ে বললো " আমি সেটা বিশ্বাস করি....!
আইদ বিদ্যুৎ-এর ঝটকার মতো কেঁপে উঠে বর্তমান সময়ে ফিরে এলো। আইদ উঠে এক মূহুর্ত দেরি না করে চলে গেলো ইকরি'র কাছে। যেভাবেই হোক ইকরি'কে রাজি করিয়ে আমার প্রস্তুতি শুরু করতে হবে।
**এদিকে আমরা দেখতে পাই রাফসিয়া সব শুনার পর কিছু না বলে উঠে চলে গেলো তাড়াতাড়ি। রাফসিয়া'র আব্বু পেছন থেকে ডাকলো " কিরে মামণি কি হয়েছে আমাকে খুলে বল। আমার বাবা'র কথা হঠাৎ তোর মাথায় এলো কিভাবে....?
রাফসিয়া কোনো জবাব না দিয়ে নিজের রুমে গিয়ে ফোন হাতে নিয়ে একটা ম্যাসেজ টাইপ করে আইদ'কে পাঠাতেই যাবে তখন-ই পেছন থেকে একটা ভারী কন্ঠ বলে উঠলো " কি দাদুভাই। আমার দূর্বলতা তাকে জানিয়ে দিচ্ছো তাই না...?
রাফসিয়া চমকে গিয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখলো ইমন শিকদার তার বিকৃত চেহারায় দাঁড়িয়ে আছে..................
To be continue........... 
Galib Abraar

--------