আপনার লিংকটি তৈরী হচ্ছে
#Warning : দুর্বল হৃদয়ের হলে পোষ্টটি Skip করতে পারেন।
#শয়তান_সাধক
#ইয়াছির_আরাফাত_রামিম
#০১
আজকের সন্ধ্যার পরিবেশটা অনেক মনোমুগ্ধকর। চারদিকে যেনো ঠান্ডা বাতাস বইছে।সেই ঠান্ডা বাতাসের সাথে আমি আর সৌরভ আড্ডা দিতে দিতে হেটে যাচ্ছি।আজকে মনটা অনেক ভালো লাগছে।কেমন যেনো আজকে মেজাজটা ফুড়ফুড়ে লাগছে।আকাশে সূর্য প্রায় অস্তমিতো অবস্থায় রয়েছে।সারা আকাশজুড়ে সূর্যের লাল আভায় যেনো ভরে গিয়েছে।মাঝে মাঝে আকাশে পাখির ঝাক দেখা যাচ্ছে।হয়তো রাত হবার আগেই তারা তাদের বাসস্থানে ফিরে যাচ্ছে।আসলে সত্যিই আজকের পরিবেশটা কেমন যেনো অদ্ভুৎ রকমের সুন্দর লাগছে।আমি আর সৌরভ গল্প করতে করতে হেটে যাচ্ছি এমন সময় মাগরিবের আযানের ধ্বনি ভেসে আসছে।বুঝলাম মাগরিবের সময় হয়ে গিয়েছে।কখন যে মাগরিবের সময় হয়ে গেলো টেরই পাই নি।সময় যে এভাবে আস্তে আস্তে চলে যায় কেউ বুঝতে পারে না।আমরা যথারীতি মাগরিবের নামাজের উদ্দেশ্যে মসজিদে প্রবেশ করলাম।ওজু করে আস্তে আস্তে সব নামাজ আদায় করে নিলাম।
যথারীতি নামাজ শেষ করে মসজিদ বের হয়ে আমরা হাটতে থাকলাম।হঠাতই সৌরভ বলে উঠল,
সৌরভ-" আচ্ছা ভাই,আজকের পরিবেশটা কিন্তু অদ্ভুৎ রকমের সুন্দর তাই না?"
আমি-" হ্যা,তো কি হয়েছে?"
সৌরভ-" আরে ভাই,এইসময় যদি একটা ভৌতিক গল্প শুনা যায় তাহলে কিন্তু আজকের সন্ধ্যাটা সার্থক।"
আমি-"মানে? আচ্ছা ভাই তুই কি বলতে চাচ্ছিস বলতো?একটু ঝেরে কাশতো বাবা?"
সৌরভ-" আসলে আমি বলতে চাইছি এখন যদি আয়াত হুজুরের থেকে একটা গল্প তুক্ষু যদি একটা ঘটনা শুনা যায় তাহলে কিন্তু মন্দ হয় না।"
আমি ইতস্ততভাবে বললাম,
আমি-" তা অবশ্য তুই ভুল বলিস নি।কিন্তু..."
সৌরভ-" কোনো কিন্তু নয়।প্লিজ ভাই চল না?আমার না আজকে কেমন যেনো ভৌতিক ঘটনা শুনতে ইচ্ছে হচ্ছে।প্লিজ ভাই চল।"
আমি-" দেখ ভাই,এখন উনি বাসায় থাকবে নাকি থাকবে না সেটাতো জানি না তাই না?"
সৌরভ-" আরে ভাই,থাকবে থাকবে।আর যদি না থাকে তাহলে চলে আসবো। ব্যস। "
আমি-" আচ্ছা, তাহলে চল।"
আমিও সৌরভের কথায় রাজি হলাম।আসলে আমারো ভৌতিক ঘটনা শুনতে ইচ্ছে করছিলো তাই আর না করতে পারলাম না।কথা শেষে আমরা দুইজন আয়াত হুজুরের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
বাসায় এসে দুই,তিনবার দরজা টুকা দিতেই দেখলাম আয়াত হুজুর নিজেই দরজা খুলে দিলেন।হুজুরকে দেখেই আমরা দুইজন সালাম দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম।
আয়াত হুজুর বললেন,
হুজুর-" তো তোমরা দুইজন হঠাত এই অসময়ে?কোনো দরকার আছে নাকি?"
আমি-" আরে নাহ।তেমন কোনো দরকার নেই।আপনার সাথে আড্ডা দিতে আসলাম আরকি। আচ্ছা আপনার কি কোনো জরুরি কাজ আছে নাকি?"
হুজুর-" না আমার কোনো কাজ নেই।আমি এই কিছুক্ষন বসে এশারের সময় মসজিদে যেতাম আরকি।আর তুমরা কি সত্যিই আমার সাথে আড্ডা দিতে আসো?হাহা।"
আমি-" হ্যা। আড্ডাইতো দিই।আপনার সাথে আড্ডা দেয়ার একটা আলাদা মজা আছে।আপনার সাথে আড্ডা দিলে মনটা কেমন ভালো হয়ে যায়।"
এমম সময় সৌরভ বলে উঠলো,
সৌরভ-" আচ্ছা হুজুর, আপনি আজকে আমাদের একটা অন্যধরনের ঘটনা বলুন যেটি আপনি এখনো ভুলতে পারেন নি।মানে আপনার জীবনের কোনো অদ্ভুৎ ঘটনা আরকি।"
হুজুর-" আরে সৌরভ,আজকে হঠাৎ তোমার কি হলো?তুমিতো এইসব বিশ্বাস করো না।আর সবচেয়ে বড় কথা হলো তুমি হঠাত গল্পকে ঘটনা বলছো কেন?তুমিইতো এইসব ঘটনাকে গল্প বলে উড়িয়ে দাও।"
সৌরভ একটা লজ্জামিশ্রিতো হাসি দিয়ে বলল,
সৌরভ-" আর লজ্জা দেবেন না হুজুর।এমনিতেই আমি অনেক লজ্জিতো।"
কিছুক্ষন পর হুজুর বললেন,
হুজুর-" আচ্ছা তাহলে শুনো।আজকে তোমাদেরকে আমি একটা অদ্ভুত ভয়ংকর ঘটনা বলবো।আসলে এইটা আমার জীবনে অন্যতম একটা ভয়ংকর স্মৃতি। "
আমি-" আচ্ছা হুজুর বলেন।মনে হচ্ছে আজকে আপনি অন্যরকম কিছু শুনাবেন।আমিতো শুনার জন্য আগ্রহ নিয়ে বসে আছি।আপনার প্রত্যেকটি ঘটনা অদ্ভুৎ রকমের ভয়ংকর। "
এরপর হুজুর বলতে শুরু করলেন,
হুজুর-" শুনো তাহলে।আজকের যেই ঘটনাটা বলবো সেটা অনেক আগের সময়ের।যেই সময় আমি ক্লাস ৯ এ ছিলাম।তুমরা হয়তো জানো আমি মাদ্রাসায় পড়লাখা করেছি।কিন্তু মাদ্রাসায় পড়লেও পাড়ায় আমার অনেক বন্ধু ছিলো যারা বেশিরভাগই স্কুলে পড়ে।সেরকমই একজন বন্ধু ছিলো যার নাম মামুন।
মানুষ হঠাত একদিন আমাকে বললো,
মামুন- ভাই আজকে তুই আমার সাথে একটু যেতে পারবি?
আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
হুজুর- কেনো?আর কোথায়ইবা যেতে হবে?
মামুন-আমার একটা বন্ধুর বাসায়। যাবি?
হুজুর- তুই যাবি তোর বন্ধুর বাসায় সেখানে আমাকে কেনো নিয়ে যাবি।তুই একা যা।সে তোর বন্ধু আমার নয় বুঝলি।আর তাছাড়া একজন অপরিচিতর বাড়িতে আমি তেমন যাই না।
মামুন- আসলে আমি একটু ভয় পাচ্ছি।আর তাছাড়া তুই হলি আমার বন্ধু।আমি আমার বন্ধুকে যেখানে ইচ্ছা নিয়ে যেতে পারি।
আমি অবাক হয়ে ওকে জিজ্ঞেস করলাম,
হুজুর- ভয়?কিসের ভয়।
তখন মামুন আমাকে যা বললো সেটা শুনে আমিও রীতিমতো অবাক।আমার কেমন যেনো অবিশ্বাস্য লাগলো।
মামুন- আচ্ছা শুন তাহলে তোকে আসল কথা বলি।কেনো আমি ওর বাসায় যেতে ভয় পাচ্ছি।
এরপর মামুন তার ভয়ে পাওয়ার আসল কারন বলতে শুরু করলো,
মামুন- আমি যেই বন্ধুটির বাসায় যাবো আজ, ওর নাম সেলিম।সেলিম একসময় একটা শান্ত আর ভদ্র ছেলে ছিলো।সে অনেক গরীব ছিলো।আর অনেক বোকা স্বভাবের ছিলো।তাই তাকে নিয়ে স্কুলের বাকী ছেলেরা অনেক মজা,ওকে হেয় করা,ওকে মারধর এইসব করতো।যখন ছেলেরা ওকে মারতো আমার অনেক মায়া হতো।তুই তো জানিস আমি অনেক দয়ালু মানুষ। তাই কারো কষ্ট চোখের সামনে দেখে সহ্য করতে পারতাম না। তাই আমিই একমাত্র সেলিমকে ভরসা দিতাম।তার মনের জোর বাড়াতাম।তাকে উতসাহ দিতাম।এইসবে সেলিম অনেক মনমরা হয়ে থাকতো। কারো সাথে কথা বলতো না।আর কার সাথেইবা বলবে কেউ ওকে পাত্তাই দিতো না।একমাত্র আমিই ওর সাথে ভালো ব্যবহার করতাম।ওকে শান্তনা,ভরসা, সাহস দিতাম।ওর সাথে আমার অনেকটা ভালো বন্ধুত্ব হয়।কিন্তু আমার সাথে বন্ধুত্ব হলেই বা কি। ওর সাথে ছেলেরা সবসময় বাজে আচরন করতো।মারামারি, হেয় করা যেনো ওদের প্রতিদিনের কাজ।যাইহোক এভাবেই দিন চলতে লাগলো।আর সেও এইসব না চাইতেও সহ্য করছে।এভাবে অনেক দিন চলে যায়।হঠাৎই সেলিম যেনো স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়।আমিও বেশ চিন্তিতো হয়ে পরলাম।ভাবলাম হয়তো ও চলে গেছে।এতো অপমান আর হেয়ো নিয়ে কি থাকা যায়?তাই ভাবলাম হয়তো দুরে কোথাই চলে গিয়েছে।আর আমি ওর বাসার ঠিকানাও জানতাম না যে ওর সাথে যোগাযোগ করবো।
এরপর কেটে যায় তিনটি মাস।সব ঠিকটাকই চলছিলো।হঠাৎই একদিন স্কুলের সময়ে দেখি সেলিমের আগমন।আমি ওকে দেখে পুরোই অবাক। ও একটা দামি সাইকেল করে স্কুলে এসেছে।আর দামি পোশাকও পড়েছে।কিন্তু আমি জানতাম সে অনেক গরীব।সে এতো দামি জিনিস পেলো কোথা থেকে।ওকে জিজ্ঞেস করতেই ও বলে, আমাকে পরে সব বলবে।আমিও আচ্ছা ঠিক আছে বলে ক্লাসে চলে যাই।এভাবে সব ক্লাস শেষ করে যখন স্কুল থেকে বের হলাম আর সাথে সেলিমও ছিলো তখন দেখি সেই ছেলেরা আবারো সেলিমকে ঘিরে ধরেছে আর আগের মতো করছে।ওর পোশাক ছেড়ার চেষ্টা করছে।সাইকেল ভাঙ্গার চেষ্টা করছে।এর কিছুক্ষন পর দেখলাম আরো অবাক বিষয়।হটাৎই যেনো দান উলটে গেলো।দেখলাম সেলিম হাত দিয়ে কিসব ইশারা করছে আর এতে ছেলেগুলোর অনেক কষ্ট হচ্ছে।সেলিম হাত দিয়ে একটা কি ইশারা করতেই দেখলাম একটা ছেলের হাত পিছন দিয়ে ঘুরে ভেঙ্গে গেলো।ছেলেটির সেই কি ভয়ংকর চিতকার। এইরকম ভয়ংকর ঘটনা দেখে বাকিরা কোনোরকমে পালিয়ে গেলো।আর সেলিমও আমাকে টেনে অন্যদিকে নিয়ে গেলো।
আমরা তারপর একটা মাঠে বসলাম।দুইজনই কিছুক্ষন নিরব।নিরবতা ভেঙ্গে আমি ওকে প্রশ্ন করলাম,
মামুন- আচ্ছা ভাই,এইসব কি হলো?আর তুই এতোদিন কোথায় ছিলি।আর তুই ইশারায় এগুলো কি করলি?কিছুইতো বুঝলাম না।
তারপর সেলিম আমাকে যা বললো আমি সেগুলো শুনে রীতিমতো হা হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম।আমার বিশ্বাসই হচ্ছিলো না ও এইরকম কিছু করতে পারে।
সেলিম- শুন। আমি অনেক গরীব তুই সেটা জানিস।আর তাছাড়াও স্কুলে আমি প্রতিনিয়ত অপমানিতো হয়।এটা আমার খুব খারাপ লাগে।এইজন্য আমার স্কুলে যেতে ভালো লাগতো না।সেদিনের অপমানের পর আমার অনেক অনেক খারাপ লেগেছিলো। তাই আমি বাড়ি ছেড়ে চলে যাই।চলে যাই কারন আমি চাইতাম কোথাও অনেক দুরে চলে যেতে।যেখানে আমাকে কেউ অপমান করবে না।তাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসি আর ভাবতে থাকি কিভাবে আমি সহজেই অনেক টাকার, সম্পত্তির মালিক হবো। অনেক শক্তিশালী হবো।আর কি করেইবা প্রত্যেকটি অপমানের প্রতিশোধ নিবো।এইসব ভেবেই আমি অন্যমনস্ক হয়েই রাস্তায় হাটতে থাকি।এমন সময় কে যেনো আমার সাথে ধাক্কা খেলো আর আমার হাত ধরে ফেললো।দেখলাম সে কিরকম অন্যধরনের মানুষ। তার শরীর থেকে একটা বাজে গন্ধ আসছে।গন্ধটা এতোই বাজে ছিলো যে আমার বমি চলে এসেছিলো।তার চেহারা কিরকম একটা বিশ্রি রকমের।দেখলেই ভয় লাগে।আর তার চুল,দাড়ি অনেক বড়ো বড়ো আর ময়লা।তাজে দেখেই আমার কিরকম শরীরটা যেনো ঘিনঘিন করে উঠলো।তারপর সে আমাকে বললো, 'তুই যা চাস তা ই পাবি।প্রভু তোকে সব দেবেন।এইজন্য তোকে আমার সাথে যেতে হবে।'
আমি তার কথা শুনে চমকে গেলাম। একটু ভালো করে খেয়াল করে দেখলাম সে একটা কালো হুডি পরা।আমি ভাবতে লাগলাম সে আমার মনের কথা জানলো কিভাবে।তারপর আবার সে বললো-' দেখ,আমি কিভাবে জানলাম সেটা বড় কথা নয়।বড় কথা হলো আমার সাথে গেলে তুই অনেক টাকা, সম্পত্তি, শক্তি যা চাস তা ই পাবি।প্রতিশোধ নিতে পারবি।'
হঠাৎই প্রতিশোধের কথাটা শুনতেই যেনো গায়ে আগুন জ্বলে উঠলো। হ্যা আমাকে প্রতিশোধ নিতেই হবে।তাই আর কিছু না ভেবেই আমি তার সাথে চলে গেলাম।আমার একটাই উদ্দেশ্য সেটা হলো ক্ষমতাশালী হওয়া আর প্রতিশোধ নেয়া।
যখন আমি তার বাড়িতে গেলাম।দেখলাম তার বাড়িটা বাহির থেকে বেশ অন্য সব সাধরান বাড়ির মতোই কিন্তু অন্যরকম ছিলো বাড়ির ভিতরের অংশ।
তিনরুমের একটা বাসা।তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে এই বাড়ির আসেপাশে কোনো বাড়ি নেই।আমি তাকে জিজ্ঞেস করতেই সে বলে সে এই বাড়িতে একাই থাকে।
তারপর আমি ভিতরে ঢুকলাম।ভিতরে প্রচন্ড বাজে নোংরা পঁচা গন্ধ। গন্ধ নাকে আসতেই বমি বমি ভাব আসে।সে ব্যক্তিটি আমার এইসব দেখে হেসে বলে, যে কিছুদিন থাক আমার সাথে সব সহ্য হয়ে যাবে।
আমি বললাম, থাকবো মানে?
সে বলে, তুই যদি ক্ষমতাশালী হতে চাস তাহলে তোকে আমার সাথে থাকতে হবে।আমি তোকে ক্ষমতাশালী হবার শিক্ষা দেবো।তুই এখন আর আজ থেকে আমার শিষ্য বুঝলি?
আমি আর কিছু বললাম না।কারন আমি এমনিতেই বেচে থেকেও মৃত।তাই যদি তার সাথে থেকে যদি কিছু কামাতে পারি মন্দ কি?
এখন শুন আমি তার বাসার বর্ননা দিই।বাসাটা তিন রুমের ছিলো।১ম রুমে ঢুকতেই তেমন কিছু চোখে পড়ে না।বেশ সাধারণ। কিন্তু ২য় রুম থেকেই গন্ধের উতপাত শুরু।২য় রুমে দেখি সেখানে দেয়ালে রক্ত দিয়ে কিসব লিখা।যেমন বিভিন্ন মন্ত্র লিখা।তারপর আরবি ভাষাকে উলটো করে লিখা।আর সারা দেয়াল জুড়েই যেনো রক্ত দিয়ে আকা একচোখের ছড়াছড়ি।সারা দেয়াল জুড়ে যেনো একচোখ আকা।দেখলে মনে হয় সারাক্ষন একচোখ তোকে পর্যবেক্ষন করছে।আর দেয়ালের কিছু কিছু জায়গায় পেন্টাগ্রামের ছবি আকা।ওহ তুইতো পেন্টাগ্রাম কি জানিস না।অবশ্য আমিও জানতাম না।ওই ব্যক্তিই সব শেখালো।পেন্টাগ্রাম হলো একটা বৃত্তের মধ্যে একটা তারা বুঝলি?এতোটুকুই জেনে রাখ।আমি পরে তোকে এই পেন্টাগ্রাম কিরকম দেখাবো।
হ্যা যা বলছিলাম, দেয়ালে দেয়ালে পেন্টাগ্রামের ছবি আকা।এখন পেন্টাগ্রামের ছবি আকা কেনো সেটা একটু পরেই জানতে পারবি।২য় রুমটা ব্যস এইরকমই।এখন ৩ নম্বর মানে শেষ রুমেই সবকিছু।৩ নম্বর রুমে প্রবেশ করতেই প্রচন্ড পঁচা গন্ধে আমার সারা শরীর গোলাচ্ছে।আমি যেনো থাকতেই পারছি না।বমি বমি আসছে।অবশেষে আমি সহ্য করতে না পেরে বমি করে দিলাম।লোকটি হাসতে হাসতে বললো,-' হাহাহা এইরকম হলে হবে নাকি?আমার সাথে থাকবি।আর এইসব সহ্য করবি না তা কি হয়?এরপরতো এইসবের দায়িত্ব তোকেই নিতে হবে।তুই আমার সাথে থাক সব সহ্য হয়ে যাবে।'
আমি দেখলাম ৩ নম্বর রুমে প্রায় মাঝখানে একটা বড় পেন্টাগ্রাম আকা। আর তার মাঝখানে মানুষের খুলি।কি বিবতস দৃশ্য কি বলবো তোকে।এর চেয়েও ভয়ংকর হচ্ছে সেই রুমে অনেক পশুপাখির মাথা, পা, নাড়িভুড়ি বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।যেমন কুকুর,বিড়াল,খরগোশ,সাপ,বিভিন্ন পাখির পাখা পা এইসব। এইসব দেখে আমি প্রচন্ড ভয় পেলাম।
আমি নিজের ভয় আটকে তাকে জিজ্ঞেস করলাম,' আচ্ছা কে বলুনতো আপনি?আর আপনি এইসব কি করেন এখানে?'
সে আমাকে যা বললো সেটা শুনে আমি অবাকের সাথে প্রচুর ভয়ও পেয়েছি।সে বললো, ' আমি একজন শয়তান উপাসক।আমি আমার প্রভুর উপাসনা এভাবেই করি।আমার প্রভু আমি যা চাই তা ই দেন।আমি প্রভুর নিকট চিরকৃতজ্ঞ।আর প্রভুই আমাকে তুর সন্ধান দিলেন।প্রভু আমার মঙ্গল করুক।'
তার এইসব কথা শুনে আমি অনেক ভয় পেলাম। আর মনে মনে ভাবলাম শেষ পর্যন্ত শয়তান পুজারির পাল্লায় পরলাম?আমি ঠিক করলাম আমি আর এখানে এক মুহূর্তও থাকবো না।আমি চলে যাওয়া জন্য পা বাড়াইতেই সে বলে,
-' দেখ তুই যদি আমার প্রভুর কথা অনুযায়ী চলিস আর তার কাজ করিস।তাহলে প্রভু তোর উপর খুশি হয়ে তুই যা চাস তা ই পাবি।হ্যা যা চাস তা।তুই যদি পুরো জগতে রাজত্ব করতে চাস তাহলে তুই সেটাও পারবি।শুধু তোর, প্রভুকে খুশি করতে হবে।আচ্ছা তুই প্রতিশোধ নিতে চাস না?তোর উপর যা যা অন্যায় হয়েছে সেগুলোর বিচার চাস না।ভেবে দেখ।'
প্রতিশোধের কথা শুনতেই আমার স্কুলের অপমানের কথা মনে পড়ে গেলো।
আমি তাকে বললাম,' হ্যা চাই।আমি প্রতিশোধ নিতে চাই।আমার প্রতি করা সব অন্যায়ের প্রতিশোধ নিতে চাই।'
চলবে.........
কেমন হলো অবশ্যই জানাবেন।আর একটা গঠনমুলক মন্তব্য করবেন।আয়াত হুজুরের এই গল্পটা কেমন লাগছে কমেন্টে জানান।
🔴 Steps to Get Link 🔗
1. Click on Ad ⬆
2. Wait for 5 seconds
3. Come Back Here
Ad Clicked! Please wait 5 seconds...