আপনার লিংকটি তৈরী হচ্ছে
ব্রিঃদ্রঃ গল্পটিতে কপিরাইট রয়েছে। (সংগ্রহিত)
#Warning : দুর্বল হৃদয়ের হলে পোষ্টটি Skip করতে পারেন।
গল্পঃফারিশতা
সূচনা পর্ব
আমরা জ্বীন জাতি। পৃথিবীতে মানুষের আগে আমাদের আধিপত্য বিস্তার ছিলো। আমাদের পূর্বপুরুষদের ভুলের জন্য আমরা পৃথিবী থেকে বিতাড়িত হয়েছিলাম। সৃষ্টি জগতের মাঝে তিনটা সৃষ্টি সবচেয়ে ওপরে। এক হলো মানুষ। যাকে সৃষ্টির সেরা জীব বলা হয়েছে। দুই হলো জ্বীন জাতি মানে আমরা। আর তিন হলো ফেরেশতা কূল। এই তিন সৃষ্টি-ই তিনটা ভিন্ন ভিন্ন উপাদানে সৃষ্টি করা হয়েছে। মানুষ এসেছে মাটি থেকে। জ্বীন এসেছে আগুন থেকে আর ফেরেশতা নূর বা আলো থেকে। তবে ফেরেশতাদের কোনো নিজস্ব ইচ্ছে শক্তি না থাকলেও মানুষ এবং জ্বীন-দের নিজস্ব ইচ্ছে শক্তি আছে। আমরা চাইলে আমাদের জীবনকে ভুল পথেও পরিচালনা করতে পারি আবার সঠিক পথেও পরিচালনা করতে পারি। ভুল করা আমাদের বৈশিষ্ট্য তবে ভুলের শাস্তি হওয়াটা আবশ্যক। আর আমি এই মারিদ সম্প্রদায়ের সকল জ্বীন-দের রাণী । তাই আমার দায়িত্ব তোমাকে তোমার ভুলের প্রাপ্য শাস্তি দেয়া।
**কথা গুলো বলছিলো মারিদ জ্বীন সম্প্রদায়ের রাণী সিলভিয়া।
তার সামনে হাতে পায়ে শিকল বাঁধা এক অপরূপ সুন্দরী মেয়ে মাথা নিচু করে অপরাধীর মতো দাঁড়িয়ে আছে। তার নাম ফারিশতা।
ফারিশতা'র কোনো এক ভুলের শাস্তি দেয়ার জন্য আজকের এই বিচার বসানো হয়েছে রাজ দরবারে।
রাণী সিলভিয়া তার ফলদানি থেকে আঙুর মুখে দিয়ে বললো " ফারিশতা তুমি কি তোমার ভুল স্বীকার করছো.....?
ফারিশতা মাথা তুলে একবার পাশে তাকালো। সেখানে একটা মেয়ে মলিন মুখে দাঁড়িয়ে আছে। মেয়েটা মাথা নাড়িয়ে ইশারা দিলো স্বীকার করো না এটা। কিন্তু ফারিশতা মুচকি হেসে রাণী'র দিকে তাকিয়ে বললো " আমি স্বীকার করছি আমার অপরাধ। আপনি আমাকে যেই শাস্তি দিবেন আমি মাথা পেতে নেবো....!
পাশে মেয়েটার চোখে পানি টলোমলো করছে। সে কোনোভাবেই চাইছিলো না ফারিশতা এটা স্বীকার করে নিক।
রাণী সকল সভা সদস্য-দের উদ্দেশ্যে বললেন " তাহলে সবাই তো শুনলেন ফারিশতা নিজের মুখে তার ভুল স্বীকার করেছে। তাকে কি শাস্তি দেয়া যায় আপনারা পেশ করতে পারেন...!
একজন উঠে বললো " এই মেয়েকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হোক।
আরেকজন বললো " একে রাজ মহলে চাকরানী করে রাখা হোক।
আরেকজন বললো " এই মেয়ের জিহবা কেঁটে ফেলা হোক।
রাণী কারো রায় শুনেই তেমন খুশি হলো না। অবশেষে এক বুজুর্গ জ্বীন উঠে বললো " রাণী সাহেবা। আমার মতে ফারিশতা'কে শাস্তি স্বরূপ সেখানেই পাঠিয়ে দেয়া হোক যেখান থেকে এই ভুলের শুরু হয়েছিলো। অবশ্যই তার সকল শক্তি কেঁড়ে নিয়ে তাকে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে পাঠানো হোক। যাতে সে তার ভুল শুধরে আবার একজন পাপমুক্ত জ্বীন হয়ে ফিরে আসতে পারে...!
রাণী এবার খুশি হলো তার রায় শুনে। রাণী ঘোষণা দিলো " ফারিশতা'কে আগামীকাল সকালবেলা পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেয়া হবে। আজ রাতে তার সমস্ত শক্তি ছিনিয়ে নেয়া হবে। এটাই আমার রায়...!
রায় শুনে ফারিশতা চুপ থাকলেও পাশে থাকা মেয়েটার চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়লো। সে দৌড়ে গিয়ে ফারিশতা'কে জড়িয়ে ধরলো। আর বলতে লাগলো " কেন এটা করলি। শাস্তি তো আমার পাওয়ার কথা ছিলো....!
ফারিশতা একটু হেসে মেয়েটার কানে ফিসফিস করে বললো " ধূর পাগলী। তুই আর আমি কি ভিন্ন নাকি। একজন শাস্তি পেলেই হয়। আর শুন আসল সত্য টা যেনো কেউ কখনও জানতে না পারে। তাহলে আমাদের মৃত্যু নিশ্চিত।
মেয়েটা বললো " কথা দিলাম। কেউ জানবে না। আমি তোর জন্য অপেক্ষা করবো। আমি জানি খুব তাড়াতাড়ি তুই ফিরে আসবি...!
ফারিশতা অদ্ভুত একটা হাসি দিয়ে বললো " আমি ফিরে আসবো। ফিরে আসবো রাণী হয়ে....!
মেয়েটাও একটু হেসে চলে যেতে লাগলো। প্রহরীরা ফারিশতা'কে কারাগারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
ফারিশতা পেছনে তাকিয়ে ডাক দিলো " তাইবা.....
মেয়েটা পেছনে তাকালে ফারিশতা চোখের ইশারায় কিছু বললো। মেয়েটাও একটু হেসে বেড়িয়ে গেলো রাজ দরবার থেকে।
**দৃশ্য চলে এলো পৃথিবীতে....
এখন ১৯৯৮ সাল চলছে। কলেজের একটা ছেলে প্রিন্সিপাল কক্ষের বাইরে অনেক টেনশনে এদিক ওদিক পায়চারী করছে। ছেলেটার নাম তালিফ।
কিছুক্ষণ পর একটা লোক'কে সেদিকে এগিয়ে আসতে দেখে তালিফ দৌড়ে গিয়ে বললো " বাবা আমার চকলেট নিয়ে আসছো...?
লোকটা ধমক দিয়ে তালিফে'র কান ধরে বললো " ওরে বদের বদ। আমি এসেছি প্রিন্সিপালের আমন্ত্রণে। তুই হয়তো আবার কোনো মহৎ কার্য সম্পাদন করিয়াছিস। তাই নালিশ শুনাতে ডেকেছে। চল গিয়ে দেখি তোর নামে এবার কি নালিশ চলছে...!
এই বলে কান ধরে টানতে টানতে তালিফ'কে প্রিন্সিপাল কক্ষে নিয়ে গেলো তার বাবা। তালিফ বলতে লাগলো " বাবা কান ছাড়ো। তুমি ঐ টাকলা ব্যাডার কথা বিশ্বাস করো না তো। আমাকে শুধু শুধু হয়রানি করে....!
প্রিন্সিপাল রুমে গিয়ে তালিফে'র বাবা চেয়ারে বসলো। তালিফ দুই হাত বুকে বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে। প্রিন্সিপাল রাগান্বিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো " নামাজে দাঁড়িয়েছিস নাকি হারামজাদা। হাত সোজা করে দাঁড়া....!
তালিফ হাত নামিয়ে বিড়বিড় করে বললো " সোজা জিনিস তো আপনার পছন্দ না...!
প্রিন্সিপাল এটা শুনে ফেললো আর রেগে তালিফে'র বাবা'কে বললো " দেখেছেন। কতো বেয়দব আপনার ছেলে। ওর নামে নালিশের শেষ নেই।
তালিফে'র বাবা বললো " তা শুরু করেন কি কি নালিশ জমা হয়েছে আমার ছেলের নামে।
প্রিন্সিপাল বললো " কয়টা বলবো বলেন। গতকাল আমি কলেজের পুকুরে অযু করতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে গিয়েছি। আমি তো সাঁতার জানি না। আমি পুকুরে ডুবে যাচ্ছিলাম। আপনার ছেলে পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এটা দেখে আমাকে বাঁচাবে তো দূর। উল্টো গিয়ে কলেজের ঘন্টা বাজিয়ে বলে দিয়েছে আজকে ছুটি। প্রিন্সিপাল মারা গেছে পানি তে ডুবে.....!
তালিফে'র বাবা চোখ বড় করে তার দিকে তাকালে তালিফ বললো " একটু ভুল আছে। আমি এটা বলি নি প্রিন্সিপাল মারা গেছে। আমি বলেছিলাম টাকলা মারা গেছে....!
এটা শুনে প্রিন্সিপাল আরো রেগে গিয়ে দাঁড়িয়ে গেলো আর বললো " দেখেছেন আপনার সামনে আমাকে টাকলা বলেছে....!
তালিফে'র বাবা তাকে ধমক দিয়ে বললো " তোর তো অনেক সাহস হয়েছে তালিফ। আমি সামনে বসে আছি আর তুই তাকে টাকলা বলছিস।
এই বলে তালিফে'র বাবা চেয়ার থেকে উঠে প্রিন্সিপালের পিছনে গিয়ে বললো " নে এবার বল টাকলা। আমি এখন তার পিছনে আছি....!
তালিফ ফিক করে হেসে দিলো। প্রিন্সিপাল কপাল চাপরাতে চাপরাতে বললো " কার কাছে বিচার দিতাছি আমি। ইয়া খোদা আমারে উঠিয়ে নাও...!
তালিফ বললো " আমিন....
প্রিন্সিপাল চোখ বড় করে তাকিয়ে বসে পড়লো নিজের চেয়ারে। তালিফে'র বাবা আবার সামনে এসে বসে জিজ্ঞেস করলো " এটা তো শুনলাম। আর কি নালিশ আছে বলেন আমাকে....!
প্রিন্সিপাল বললো " আর বলেই বা কি হবে। আপনি যে কি বিচার করবেন তা আমার বুঝা হয়ে গেছে। তবুও বলি, আপনার ছেলে নিজে তো গালাগালি করেই। আবার ক্লাসে টিউশন সেন্টার খুলে বসেছে গালি শিখানোর। সব বাচ্চাদের গালি শিখানোর বিনিময়ে তাদের টিফিন খেয়ে নেয়...!
তালিফ বললো " না বাবা ইহা একটি ডাহা মিছা কতা। কলেজে এমন কোনো হমন্দি*রপুত এটা বলতে পারবে না। প্রিন্সিপাল আমার নামে অপবাদ দিচ্ছে....!
তালিফে'র বাবা রেগে বললো " চুপ কর হারামজাদা। এইরকম টাক মাথা ওয়ালা একটা লোক কখনও মিথ্যা বলতে পারে না। আজকে তোরে বাড়িতে নিয়ে এমন শিক্ষা দিবো যে এসব বা*ল ছা*ল আর কখনও মুখেও আনবি না......!
প্রিন্সিপাল টেবিলে নিজের মাথা বারি দিয়ে বললো " সব কথা বাদ। ভাইবা এক্সামে নিজের জন্মস্থান কোথায় প্রশ্ন করলে ও উত্তর দেয় হাসপাতালের বেডে। এটা কেমন কথা বলেন...!
তালিফে'র বাবা তার মাথায় থাপ্পড় মেরে বললো " হারামজাদা তোর জন্মস্থান হাসপাতালের বেডে না। তুই তো বাড়িতেই হইছিলি। তাই সঠিক উত্তর হবে বাসার বেডে....!
প্রিন্সিপাল টলোমলো চোখে তাকিয়ে আছে। কেমন বাপ এইটা। একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে প্রিন্সিপাল বললো " যাক আপনার ছেলেকে আর আমাদের কলেজে রাখতে পারবো না। ওকে রাখলে অন্যান্য ছাত্র ছাত্রীদেরও ভবিষ্যৎ নষ্ট হবে।
তালিফে'র বাবা এবার উঠে প্রিন্সিপালের মুখের কাছে গিয়ে বললো " আমিও আমার ছেলেকে এমন কলেজে পড়াবো না যেখানে এসব সামান্য দুষ্টামির জন্য বারবার অভিভাবক এনে হয়রানি করা হয়। এই বয়সে যদি ওরা এইটুকু দুষ্টামি না করে তাহলে আপনার মতো বয়সে যখন একা হয়ে যাবে তখন হাসিখুশি থাকার জন্য কোনো স্মৃতি-ই থাকবে না। বুড়ো বয়সে যাতে এই স্মৃতি গুলো মনে করে হাসতে পারে আমার ছেলে।
এই বলে তালিফে'র বাবা তাকে নিয়ে বের হয়ে গেলো। প্রিন্সিপাল অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আর ভাবছে। সত্যি-ই তো আমি যখন ওর বয়সে ছিলাম তখন কতো দুষ্ট ছিলাম। কতো মার খেয়েছি শিক্ষকের হাতে দুষ্টামির জন্য। প্রিন্সিপাল তার যৌবন বয়সের কথা মনে করে নিজের অজান্তেই হেসে উঠলো....!
**তালিফ আর তার বাবা চুপচাপ হাঁটছে। তালিফ বললো " বাবা তাড়াতাড়ি হাঁটো না। রাত হয়ে যাবে তো বাসায় পৌঁছাতে। আমার ভয় লাগে।
তালিফে'র বাবা বললো " যতোদিন তোর এই রাতের ভয় না কাঁটবে ততোদিন আমি তোর সাথে থাকবো। আমি তোকে কখনও একা ছেড়ে দিবো না।
তালিফ সুন্দর একটা হাসি দিয়ে বললো " আমি জানি বাবা। সত্যি তুমি অনেক ভালো একজন বাবার পাশাপাশি একজন ভালো মনের মানুষ। তুমি আমার বাবা না হলে বুঝতেই পারতাম না শাসনের মাঝেও সন্তান'কে এতো টা সাপোর্ট করা যায়।
বাবা বললো " বাবা হিসেবে আমার এই কথা টা মনে রাখবি। যতই দুষ্টামি ফাজলামো করিস না কেন। দিন শেষে নিজেকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবি। তবে এতোটাও ভালো হবি না যে অন্য সবাইকে খারাপ মনে হয়।
তালিফ বললো " তোমার এই উপদেশ সবসময় আমার মাথায় থাকবে বাবা....!
**বাসায় আসতে আসতে রাত হয়ে গিয়েছে আজ। তালিফ এসে ফ্রেশ হয়ে খাবার খাচ্ছে। তালিফে'র বাবাও তার পাশে বসে এক মনে খাবার খাচ্ছে। তালিফে'র বাবা যতই ফ্রেন্ডলি হোক তবুও তালিফ তার বাবা-র রাগ-কে প্রচুর ভয় পায়। তালিফ ভাবছে তার বাবা হয়তো তার ওপর রেগে আছে। তাই তালিফ আস্তে বলে উঠলো " বাবা আমি না হয় কাল গিয়ে প্রিন্সিপালের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবো...!
তালিফে'র বাবা চোখ বড় বড় তাকিয়ে বললো " কখনও এটা ভাববিও না। আগামীকাল তুই শহরে চলে যাবি। আমি আমার এক বন্ধুকে বলে রেখেছি। তুই সেখানে গিয়ে ভালো ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়বি। তবে মনে রাখিস দুষ্টামি যেনো তোর পড়ালেখার মাঝে বাঁধা হয়ে না দাঁড়ায়। তোর ওপর আমার অনেক ভরসা.....!
তালিফে'র মা রান্নাঘর থেকে বললো " আদর দিয়ে দিয়ে ছেলেকে বাদর করে তুলেছো। ইংলিশ মিডিয়াম ভর্তা করে খাইয়ে দিলেও লাভ হবে না।
বাবা বললো " তুমি কথা বলবে না। আমার ছেলে ইংলিশে ডিপ্রেশন নিয়ে ফিরবে একদিন সবাই দেখবে...!
তালিফ আস্তে করে বললো " বাবা ঐটা ডিপ্লোমা হবে.....!
তালিফে'র বাবা জিহবায় কামড় দিয়ে বললো " তোর মা শুনে নি।
তখন-ই তালিফে'র দাদী কাশতে কাশতে লাঠিতে ভর দিয়ে এসে খাবার টেবিলে বসে কাঁপতে কাঁপতে বললো " তোর পোলা একটা অকর্মার ঢেঁকি। দুইন্নাত কুনো ইশ্কুলেই অয় টিকবো না বইলা দিলাম....!
তালিফ বিড়বিড় করে বললো " কবে যে একটা চল্লিশার দাওয়াত পাবো।
এটা শুনে দাদী তার লাঠি দিয়ে তালিফ'কে বারি দিয়ে বললো " হতচ্ছাড়া বইয়া বইয়া আমার মৌতের দোয়া করতাছোস। আমি দোয়া দিলাম তোর কপালে একটা মানষের ছল ধরা ছেমড়ি পেত্নী আইবো।
তালিফ রেগে বললো " দাদী রাতের বেলা এসব কি কথা। জানো না আমি এইসব ভয় পাই। বাবা তোমার মা'রে কিছু বইলো না হলে কিন্তু কবে জানি ধইরা জানালা দিয়ে ফেলে দেই...!
দাদী তার বুরকা দাঁত গুলো দেখিয়ে হাসতে হাসতে বললো " কাইল রাইতের বেলা আমি জানালা দিয়া এক্কা লম্বা ছায়া দেকতে পাইছি। হেইডা তোর ঘরের দিকে গেছে....!
তালিফ রেগে উঠে চলে গেলো। দাদী আর বাবা টেবিলে বসে হাসতে লাগলো আর বলতে লাগলো। এতো বড় হয়ে গেছিস এখনো এসব ভয় পাস....!
তালিফ ওয়াশরুমে গিয়ে হাত মুখ ধুয়ে এসে বিছানায় শুয়ে পড়লো। আজকে হারিকেন জ্বালিয়েই ঘুমাতে হবে। দাদী যা বললো তা যদি সত্যি হয়।
তালিফ আয়াতুল কুরছি পড়ে তার পুরো শরীরে ছু ছু করে ফুঁ দিলো। তারপর মশারি টা চারদিক দিয়ে বিছানার নিচে গুঁজে দিলো।
এবার গুটিশুটি মেরে শুয়ে পড়লো। হঠাৎ জানালার কাছে কারো পায়ের শব্দ। কেউ শুকনো পাতার ওপর পায়চারি করছে। তালিফ এটা শুনে ভয়ে লেপের নিচে কান্না করে দিয়েছে। তাহলে কি দাদী সত্যিই বলেছে...!
হঠাৎ জানালায় আস্তে আস্তে টোকা দিতে লাগলো কেউ। তালিফ কান্না করতে করতে বাবা বলে ডাক দিলো কিন্তু মুখ নড়লেও গলা থেকে কোনো শব্দ বের হলো না। হঠাৎ আওয়াজটা বন্ধ হয়ে গেলো।
তালিফ ভয়ে ভয়ে লেপের নিচ থেকে কচ্ছপের মতো মাথা বের করে আশেপাশে তাকালো। পুরো শুনশান নীরবতা। তালিফ আস্তে আস্তে খাট থেকে নেমে দৌড় দেয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছে।
যখন-ই খাট থেকে পা নামালো হঠাৎ খাটের নিচ থেকে একটা কালো কুচকুচে হাত তালিফে'র পা খপ করে ধরে ফেললো.......!
**এদিকে আমরা দেখতে পাই দূর আকাশ থেকে একটা আগুনের গোলার মতো কিছু পৃথিবীর দিকেই এগিয়ে আসছে। সেটা এসে পড়লো ঘন জঙ্গলের মাঝে। যেখানে সেটা পড়েছে সেখানের গাছপালা গুলো ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। মাটিতে অনেক বড় গর্ত হয়ে গিয়েছে। কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে বেরিয়ে আসলো ফারিশতা................
To be continue..........
Galib Abraar
🔴 Steps to Get Link 🔗
1. Click on Ad ⬆
2. Wait for 5 seconds
3. Come Back Here
Ad Clicked! Please wait 5 seconds...