ভূত ও পিশাচ কাহিনী ছোট গল্প মানুষ_খেঁকো 2

আপনার লিংকটি তৈরী হচ্ছে

---------

 আপনার লিংকটি তৈরী হচ্ছে




ব্রিঃদ্রঃ গল্পটিতে কপিরাইট রয়েছে। (সংগ্রহিত)
⚠ #Warning : দুর্বল হৃদয়ের হলে পোষ্টটি Skip করতে পারেন।



গল্প : #মানুষ_খেঁকো
লেখক : #আহনাফ_হোসেন_মুশফিক 
পর্ব : ২
আরিফ খেয়ে দেয়ে রাতের বেলা শুয়ে পড়ে। ও সব সময় শুয়ে শুয়ে ফোন চালায় কিন্তু আজকে কেমন যেন মাথাটা ঝিমঝিম করছে ওর, তাই ও আজকে আর ফোন চালায় না। শুয়েই ঘুমানোর চেষ্টা করে। অনেকক্ষণ চেষ্টা করার পর ও গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে যায়। 
হুট করেই ও খেয়াল করে সেই ব্লগে দেখানো লোকটার মত ও সেই একই রাস্তা দিয়ে হেটে সেই কটেজটার দিকে যাচ্ছে। 
আবারও হুট করেই ও নিজেকে সেই বারান্দার মধ্যে আবিষ্কার করে। ও একটু সামনের দিকে আগাতে থাকে তখনই ও খেয়াল করে দূরে কেউ একজন দাঁড়িয়ে রয়েছে। ও সাহায্যের জন্য সেই লোকটার কাছে যেতে থাকে। কিন্তু একটু কাছে আসার পরেও খেয়াল করে এই লোকটা সেই ব্লাগার। আর তখন সেই ব্লগার টা ওর দিকে তাকিয়ে এক করুন কন্ঠে বলে,
- তুমি না দেখলে? তুমিনা দেখলে আমি ম'রে যাচ্ছি? তাহলে, তাহলে কেন তুমি আমাকে বাচাতে আসলেনা? কেন?
এইসব কথা শুনে আরিফ থ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, ও কিছুই বুঝতে পারতেছে না কি হচ্ছে এগুলো? আর এই লোকটাই বা ওর সাথে এভাবে কথা বলছে কেন? সে কি ওর কনো আত্মীয়? 
তখন লোকটা রাগা'ন্বিত চেহারা নিয়ে আসতে আসতে আরিফ এর দিকে আসতে থাকে। আরিফ পেছনে সরে যেতে চাইলেও ওপারে না, ওর মনে হচ্ছে কেউ ওকে এই জায়গায় শক্ত করে ধরে রেখেছে, যার কারণে ও এক চুল পরিমাণও নড়তে পারছে না। 
লোকটা আরিফের কাছে এসে পড়ে। উনি বারবার একটা কথাই বলছে "তুমি কেন আমাকে বাচা'তে আসলে না?" এই বলতে বলতে লোকটা আরিফের গ'লা চে'পে ধরে। 
আর তখনই আরিফের ঘুম ভেঙে যায়। আরিফ উঠে বসে, ও খেয়াল করে ওর সারা শরীর ঘামে একদম চুপচুপা হয়ে গিয়েছে! এত বি'শ্রী স্বপ্ন ও আগে কোনদিনও দেখেনি। রাত ৩ টা বাজে। ও উঠে গোসল করে, যার ফলে ও একটু স্বাভাবিক হয়। এরপর ও এসে ওর কম্পিউটার টেবিল এ বসে, ল্যাপটপটা খুলেই ইউটিউবে ঢুকে পড়ে। ও সবার প্রথমেই ওর ওয়াচ হিস্ট্রি তে যায়।
(আপনাদের জানার জন্য বলে রাখি "ওয়াচ হিস্ট্রি" হচ্ছে এমন একটা অপশন যেখানে গেলে আপনি গত ১ মাসে যতগুলো ভিডিও দেখেছেন তা সব সেখানে দেখতে পাবেন)
ওইটাই ওর লাস্ট দেখা ভিডিও ছিল। কিন্তু একি? ওই ভিডিও তো ওর ওয়াচ হিস্ট্রি তে সেভ হয়নি? কিন্তু এরকম তো হওয়ার কথা না! এর আগে ও যতগুলো ভিডিও প্লে করেছিল সবগুলোই সেখানে সেভ হয়ে আছে। কিন্তু ওই ভিডিওটা সেভ হয়নি। আর ওর ওই চ্যানেলটার নামও মনে নাই। 
তখনই ও চিন্তা করে "আরে ধুর কি একটা স্বপ্ন দেখছি এটার জন্য একেবারে সব উলটাই ফালাইতেছি" এই ভেবে ও ল্যাপটপটাকে অফ করে আবারও ঘুমিয়ে পড়ে। 
পরদিন ওর ঘুম ভাঙ্গে কলিং বেল বাজার শব্দে! গিয়ে দরজা খুলেই দেখে ওর বাবা-মা এসে পড়েছে। ওর মা ওর হাতে একটা ব্যাগ দিয়ে বলে,
- এই নে! তুমি তো আমাদের সাথে গেলা না, তোমার খালামনি খুব রাগ করছে।
- কি এটায়?
-  তোমার খালামনি তোমাকে খাবার রান্না করে দিছে। 


- ওহ আচ্ছা!
- তোমার স্কুল কি আজকে বন্ধ? 
তখনই আরিফের ঘোল ভাঙ্গে, ও ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ১১:০২ বাজে। এক দৌড়ে রুমে এসে কোনরকম প্যান্ট শার্ট পড়ে কাধে ব্যাগ নিয়ে দৌড় দেয়। 
আসলে ও কখনোই স্কুল নিয়ে এত সিরিয়াস না। কিন্তু আজকেই শিক্ষা সফরের টাকা জমা দেওয়ার শেষ দিন। আজকে না গেলে ও শিক্ষা সফরেও যেতে পারবে না। 
ও গিয়ে দেখে প্রথম পিরি'য়ড প্রায় শেষের দিকে। ওর ক্লাস টিচার বলে, 
- এতো দেরি কেন আরিফ?
- ম্যাম, আসলে...! শিক্ষা সফরের টাকা আনতে গিয়ে দেরি হয়ে গেছে! 
- হইছে, তোমার মিথ্যা কথা আমি খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারি। দেও টাকা দিয়ে বাইরে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকো। 
ওর আর কিছু করার নেই! কারণ ও আসলেই অনেক দেরি করে এসেছে। শিক্ষা সফরের ফি টা দিয়ে ও রুমের বাইরে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। সবাই ক্লাসে ঢুকে গিয়েছে কেউ আর বাইরে নেই, লম্বা বারান্দা, তার মধ্যে বাইরের পরিবেশটাও খা'রাপ যার ফলে বারান্দাটা একটু একটু অন্ধকার হয়ে এসেছে। আরিফ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কালকে রাতের ওই স্বপ্নের কথা মনে করতে থাকে।


করিও খেয়াল করে, দূরে করিডোরে কেউ একজন দাঁড়িয়ে রয়েছে। আরিফের চোখে হালকা সমস্যা ছিল, ও দূরের জিনিস একটু কম দেখতো। চশমা নিবে নিবে করেও নেওয়া হচ্ছিল না। তাই ও ওই লোকটার চেহারাটা ভালোভাবে বুঝতে পারেনা। সময় যাচ্ছে, কিন্তু লোকটা একই ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে। 
ওর এবার একটু খটকা লাগে, ও একটু একটু করে করিডরের দিকে আগাতে থাকে! তখনই ও খেয়াল করে এই লোকটা কালকে রাতে স্বপ্নে দেখা সেই ব্লগার! ও মা'রা'ত্মক ভাবে ভয় পেয়ে যায়, আর তখনই ঘন্টা দিয়ে দেয়। 
ও দৌড়ে যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে আসতে নেয় কিন্তু তখনই টিচার রুমে থেকে বের হয়ে দেখে ও দৌড়াচ্ছে। 
- তোমাকে এখানে দৌড়াদৌড়ি করতে বলছি? বেয়া'দব ছেলে, একটা কথা ও শোনো না, দাঁড়াও তোমার এ বিষয় নিয়ে প্রিন্সিপাল কে জানাবো। 
আরিফ নিচের দিকে তাকিয়ে থাকে, টিচার কিছুক্ষণ বকা'বকি করে চলে যায়। কিন্তু আরিফের কেন জানি খুবই মেজা'জ খারাপ হয় "হচ্ছে কি আমার সাথে এগুলা? কালকে রাতের থেকে একটার পর একটা সম'স্যা লেগেই আছে"  তখনই আসিফ পিছন থেকে এসে ওর কাথে হাত দিয়ে বলে, 


- কিরে পিন্টু? কেমন লাগলো বকা গুলা? 
- ধুরু মা'থা, ছারতো আমাকে!
এই বলে আসিফের হাত ওর ঘাড়ে থেকে সরিয়ে, ও একদম পেছনের বেঞ্চে গিয়ে বসে পড়ে। আসিফ এই বিষয় টা নিয়ে খুবই অবাক হয়, কারণ আরিফ আসিফের বেস্ট ফ্রেন্ড ও কখনোই আসিফের সাথে এরকম করে না। আর কেয়া'মত হয়ে গেলেও তারা দুইজন একসাথেই বসবে। কিন্তু আজকে আরিফ একদম পেছনে গিয়ে বসেছে। 
পরক্ষণেই আসিফ ভাবে আরিফ হয়তো অ'সুস্থ তাই এরকম করেছে। 
Next ~
পর্বটি কেমন লাগলো জানাবেন। আর হ্যা! আমার লেখা গল্প গুলো ভালো লাগলে আমার সাথেই থাকতে পারেন।
ধন্যবাদ।

🔴 Steps to Get Link 🔗

Click Ad

1. Click on Ad ⬆
2. Wait for 5 seconds
3. Come Back Here

Ad Clicked! Please wait 5 seconds...


--------