ভূত ও পিশাচ কাহিনী ছোট গল্প ভয়ংকর_বাচ্চার_আওয়াজ পার্টঃ২

আপনার লিংকটি তৈরী হচ্ছে

---------

 আপনার লিংকটি তৈরী হচ্ছে


ব্রিঃদ্রঃ গল্পটিতে কপিরাইট রয়েছে। (সংগ্রহিত)
⚠
#Warning : দুর্বল হৃদয়ের হলে পোষ্টটি Skip করতে পারেন।
গল্পঃ ভয়ংকর_বাচ্চার_আওয়াজ
পার্টঃ২
মৌসুমি_আক্তার 
রুদ্র অবাক হয় নিরার কথা শুনে।এমন একটা রাস্তা দিয়ে গাড়ি ঢুকেছে চারদিকে শুনশান নিরবতা। দিন না রাত তেমন বোঝার উপায় নেই।
তবে মনে হচ্ছে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসছে।রাস্তায় কোনো রোড লাইট নেই।চারদিকে ঝিঁঝি পোকা ডেকে রাত যেনো আরো গভীর করে তুলছে।রুদ্র ঠিক কোন রাস্তা দিয়ে যাবে বুঝে উঠতে পারছে না।এইদিকে নিরার কানে সেই কাঁন্নার আওয়াজ। অদ্ভুত সুরে কাঁদছে সেই বাচ্চা।নিরা চিৎকার করছে প্লিজ রুদ্র এই কাঁন্নার আওয়াজ থামাও।
বলতে  বলতেও হটাত কেউ রুদ্রর গাড়ির সামনে চলে এসে এক্সিডেন্ট করে।রুদ্র দ্রুত গাড়ি থামিয়ে  ফোনের টর্চ নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে দেখে গাড়ির ভেতরে বসা মেয়েটি।রুদ্র ভীষণ ভয় পেয়ে যায় মেয়েটি গাড়ি থেকে কিভাবে নামলো।এক্সিডেন্ট করে রক্তাক্ত অবস্হায় মেয়েটি পড়ে আছে।রুদ্র মেয়েটির নাড়ি ধরে দেখে মেয়েটি মারা গেছে রুদ্র ভীষণ ভাবে ভয় পেয়ে যায়।রুদ্র সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সাথে সাথে মৃত মেয়েটি রুদ্র হাত টেনে ধরে।
বরফের ন্যায় ঠান্ডা সে হাত রুদ্রকে টেনে ধরে।রুদ্র খেয়াল করে মেয়েটি রুদ্রর দিকে তাকিয়ে ভীষণ ভাবে হেসে যাচ্ছে।বিভৎস সেই হাসি দেখে রুদ্র চিৎকার দিয়ে ওঠে।নিরা সাথে সাথেই রুদ্রর চোখে মুখে পানি দেই নিরা এই রুদ্র কি হলো ওঠো।রুদ্র বলে মেয়েটা মারা গেছে।নিরা বলে কোন মেয়ে মারা গেছে। এখানে কেউ নেই।সেই মেয়েটি যাকে গাড়িতে তুললে।নিরা বলে ও আছে এইতো আমার পাশে আছে।রুদ্র তাকিয়ে দেখে চারদিকে আলোতে ঝলমল করছে।এতো আলো কোথা থেকে এলো।
নিরা বলে তুমি যে হটাত গাড়ি চালাতে চালাতে বললে তুমি ক্লান্ত মাথাটা কেমন ঝিম ধরেছে তোমার বলেই কেমন ঘুমিয়ে গেলে।রুদ্র বলে আমি কতটুক টাইম ঘুমিয়েছিলাম।নিরা বলে এইতো ১০ মিনিট হবে।রুদ্র বলে কি বলো মাত্র ১০ মিনিট। আমি কি তাহলে ঘুমিয়ে গেছিলাম।তখন রুদ্র বলে ও আচ্ছা আমি একটা দুঃস্বপ্ন দেখেছি।
তারপর রুদ্র আবার গাড়ি চালাতে শুরু করে।পাহাড়ি এলাকা জনমানব শুণ্য এলাকা।দিনের বেলা এমন জায়গা ভয় ভয় লাগে গাড়ি চালাতে।সন্ধা হয়ে এলো বাংলোতে পৌছাতে।নিরা সেই মেয়েটি কে নিয়ে বাংলো তে পৌছালো।মেয়েটির হাব ভাব কেমন একটা অদ্ভুত প্রকৃতির। ফ্যাল ফ্যাল করে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে আর চোখ দিয়ে পানি পড়ে শরীর পুরা বরফ।নিরা বাংলো তে পৌছানোর পর খেয়াল করে  বাংলো তে কারো উপস্হিতি।মনে হয় কেউ যেনো এখানে বসবাস করে।অনেক গুলা বাচ্চাদের পুতুল,,টেডি।কেউ যেনো খেলা করে এখানে।
নিরা ওর নিজের রুম থেকে শুনতে পাই আবার ও সেই বাচ্চার আওয়াজ।আওয়াজ টা বাথরুম থেকে ভেসে আসছে।নিরা ভয় ভয় মন নিয়ে এক পা দুপা করে বাথরুম এর দিকে যায়।।গিয়ে দেখে পিছন দিকে মুখ করে ইয়া লম্বা চুল ছেড়ে একটা টেডি ঘাড়ে নিয়ে একটা মহিলা সাওয়ার ছেড়ে গোসল করছে।পানির পরিবর্তে রক্ত পড়ছে সাওয়ার দিয়ে।আর ওই মহিলাটির কাধে যে টেডি সে ভীষণ কাঁদছে।কে এই মহিলাটি?নিরা বার বার ডাকছে কে আপনি? এভাবে বাচ্চাকে কাঁদাবেন না প্লিজ।আপনি কে?আমার দিকে তাকান।মহিলাটি বিভৎস ভাবে হাসছে আর টেডি পুতুল টা কেঁদেই যাচ্ছে।
নিরা অচেতন হয়ে টয়লেট এর এপাশে পড়ে যায়।তারপর আর নিরার কিছুই মনে নেই।ঘন্টা দুয়েক পরে নিরার জ্ঞান ফিরে আসে।নিরা দেখে সেই বিদেশী মেয়েটি নিরার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।নিরা দেখে মেয়েটি নিরার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।নিরা মেয়েটি কে বলে একি তুমি।এখন কি তোমার ভালো লাগছে মেয়েটি ঘাড় নেড়ে উত্তর দেই হুম। কিন্তু মুখে কোনো কথা বলে না।নিরা বলে আচ্ছা তুমি কোনো কথা বলো না কেনো?প্লিজ কিছু বলো।
মেয়েটি তখন খাতা কলম দিয়ে লিখে দেই আমি তোমার ভাষা বুঝতে পারি না।তাই কিছু বলতে পারি না।তখন নিরা বলে তুমি তো দিব্বি লিখে দিলে বাংলাতে তাহলে মুখে বলতে পারো না কেনো? তখন মেয়েটি আবার ও লিখে দেই আমি কথা বলতে পারি না।
এরই মাঝে রুদ্র আসে বাসায়।নিরা আর রুদ্রকে জানায় না যে কি হয়েছে তার সাথে।নিরা চাই নি বিষয় টা কাউকে বলতে।নিরা নিজেই বোঝার চেষ্টা করছে আসলে কি ঘটনা আছে এখানে।
রুদ্র ঘরে প্রবেশ করলেই সেই মেয়েটি রুম থেকে বেরিয়ে যায়।রুদ্র তখন নিরাকে বলে আচ্ছা নিরা উনি আর কত সময় এই সাদা থান পরে থাকবেন উনি কি বিধবা
চলবে????

🔴 Steps to Get Link 🔗

Click Ad

1. Click on Ad ⬆
2. Wait for 5 seconds
3. Come Back Here

Ad Clicked! Please wait 5 seconds...


--------