আপনার লিংকটি তৈরী হচ্ছে
ব্রিঃদ্রঃ গল্পটিতে কপিরাইট রয়েছে। (সংগ্রহিত)
গল্পঃরংধনুর চোখ
চতুর্দশ পর্ব
আইদ সালাম'কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হাঁটু গেড়ে বসে পড়লো এবং বললো " সালাম এটা তুই কি করলি ভাই.....?
ততক্ষণে সালাম তার নিজের রূপে ফিরে এসেছে। এটা দেখে ইমন শিকদার অবাক হলেও তার কাজ তো হয়ে গেছে। সে হাসতে হাসতে আইদের সামনে এসে বুকে লাথি দিয়ে আইদ'কে ফেলে দিয়ে বললো " এখন হিসাব বরাবর হবে। তুমি মরে গিয়ে আত্মা হয়ে ফিরে আসবে আমার মতো। কিন্তু ততোদিনে আমি আমার চাঁদের পরী'কে ফিরিয়ে আনবো। তোমার জন্য রইলো অনেক সমবেদনা আইদ আহমেদ....!
আইদের মুখ থেকে রক্ত বের হচ্ছে। পিঠে ছুরি টা এখনো বিঁধে আছে। আইদ কাঁপা কাঁপা গলায় বললো " আমি এখনো মরি নি ইমন শিকদার। যতক্ষণ আমার শ্বাস চলবে ততক্ষণ তুমি আমার থেকে নিরাপদ না....!
ইমন শিকদার বললো " তাহলে তোমাকে যে এখন-ই মরতে হবে আইদ। অনেক অপেক্ষা করেছি এই দিনটার জন্য।
এই বলে ইমন শিকদার আইদের দিকে এগিয়ে গেলো। আইদ বললো " আমাকে মেরে ফেললেও তো তোমার কেনো লাভ নেই। ইকরি'র মাঝে শুধুমাত্র কথা'ই পুনর্জন্ম নিতে পারবে...!
আইদের কন্ঠ শুনে ধীরে ধীরে সালামের হুশ ফিরছে। সালাম ইমন শিকদারের বশ থেকে বের হতে লাগলো।
ইমন শিকদার বললো " সেটা আমি জানি। তাই আমি প্রথমে তোমাকে মারবো। তারপর কথা'কে মারবো। তুমি বেঁচে থাকলে কথা'কে মারতে পারবো না। তাই তোমাকে মরতেই হবে আইদ।
ইমন শিকদার আইদের গলায় পা রেখে এক টানে পিঠে থাকা ছুরি টা বের করে ফেললো। আইদ ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠলো। পিঠ থেকে গলগল করে রক্ত বের হয়ে মাটি ভিজে যাচ্ছে।
ইমন শিকদার ছুরিটা হাতে নিয়ে উঁচু করলো আইদের বুকে ঢুকিয়ে দেয়ার জন্য। বিদায় আইদ বলে শয়তানি হাসি দিয়ে ছুরি আইদের বুক বরাবর নিয়ে আসলেই ধাপ করে সালাম এসে ইমন শিকদারের হাত ধরে ফেললো এবং এক ঝটকায় ইমন শিকদার'কে ছু্ঁড়ে ফেলে দিলো।
আইদ ঝাপসা চোখে তাকিয়ে বললো " সালাম....
সালামের চোখে ভাসতে লাগলো সে কিভাবে আইদের পিঠে ছুরি ঢুকিয়ে দিয়েছে। সালাম অস্থির হয়ে গেলো আর কান্না করতে লাগলো " এটা আমি কি করেছি। কেন করেছি। উস্তাদ আমাকে মাফ করে দিন। আমি জানি না আমার কি হয়েছিলো।
সালাম ইমন শিকদারের দিকে তাকিয়ে বললো " তুই আমাকে দিয়ে এটা করিয়েছিস তাই না। তোকে জাহান্নাম দেখিয়ে ছাড়বো....!
এই বলে সালাম ইমন শিকদারের দিকে তেড়ে গেলো। খুব লড়াই শুরু হলো দুজনের মাঝে কিন্তু সালাম ইমন শিকদারের সাথে পেরে উঠছে না। সালাম'কে মেরে আধমরা করে ফেলেছে প্রায়।
আইদ কোনোরকম শক্তি সঞ্চার করে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলো। প্রথম বার উঠতে গিয়ে আবার পড়ে গেলো। দ্বিতীয় বার উঠে দাঁড়িয়ে নিজের গায়ের জামা টা খুলে ফেললো তারপর সেটা ক্ষত স্থানে পেঁচিয়ে দিলো খুব টাইট করে।
ইমন শিকদার সালামের মাথায় আঘত করছে এক এক করে। সালামের শরীর দেয়ালের মতো ফেঁটে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। আইদ দৌড়ে গিয়ে ইমন শিকদারের মাথায় আঘাত করে তাকে ছিটকে ফেলে দিয়ে বললো " বলেছিলাম না যতক্ষণ আমার শ্বাস চলবে ততক্ষণ তুমি নিরাপদ না....!
**এদিকে আমরা দেখতে পাই জ্বীন রাজা ইকরি'কে নিয়ে তার রাজ্যে চলে এসেছে। সাথে হাকিম এবং হাবিবাও আছে। রাজা তার সিংহাসনে বসে জরুরী বৈঠকের ঘোষণা দিতে বললো প্রহরীদের।
ঘোষণা শুনে কিছুক্ষণের মাঝেই রাজপ্রাসাদে সকল উজির এবং রাজার ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা হাজির হলো। সেখানে রাজ প্রাসাদের প্রধান তান্ত্রিকও উপস্থিত হলো। রাজা সবার উদ্দেশ্যে বললো " আমরা নিজেদেরকে বাঁচানোর জন্য ইতিমধ্যে তিনজন চাঁদের পরী'কে হত্যা করেছি। যদিও আমাদের তখন এটাই সঠিক মনে হয়েছিলো। কিন্তু আমি উপলব্ধি করেছি তাদেরকে না মেরেও হয়তো আমরা কোনো উপায় খুঁজে বের করতে পারতাম।
তারপর রাজা প্রধান তান্ত্রিক'কে উদ্দেশ্য করে বললো " আপনার হাতে ২ ঘন্টা সময় আছে তান্ত্রিক মশাই। এর মাঝে আপনি এমন কোনো উপায় খুঁজে বের করবেন যাতে চাঁদের পরী পুনর্জন্ম নিলেও জ্বীন জাতি কোনো রকম ক্ষতির সম্মুখীন না হয়....!
তান্ত্রিক বললো " আপনার হুকুম মহামান্য রাজা। কিন্তু যদি এমন কোনো উপায় খুঁজে না পাই। তাহলে কি হবে......?
রাজা ইকরি'র দিকে তাকিয়ে বললো " তাহলে সেটাই করবো যেটা করা উচিত। এখন আপনি আপনার কাজে লেগে যান।
রাজ দরবারে কানাঘুঁষা শুরু হয়ে গেলো " রাজা জ্বীন জাতির পরোয়া করে না। রাজা এখন মানুষদের নিয়ে ভাবা শুরু করেছে।
কেউ কেৎ বললো রাজা এখন বৃদ্ধ হয়ে গেছে। তাই রাজার বুদ্ধি লোপ পেয়েছে।
আবার কেউ কেউ বললো এখন সময় হয়েছে নতুন রাজা নির্ধারণ করার।
রাজার কানে এসব কথা ঠিক-ই চলে গেলো। রাজা গর্জন করে সিংহাসন থেকে উঠে কর্কশ গলায় বললো " রাজার সিদ্ধান্ত নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলবে তাদের শরীর এখান থেকে বের হবে কিন্তু মাথা বের হবে না। আমি যা বলেছি তাই হবে।
রাজার এক গর্জনে সবাই ভয়ে নিশ্চুপ হয়ে গেলো। রাজা শান্ত হয়ে ধীর কন্ঠে ইকরি'কে বললো " তোমরা এখন গিয়ে বিশ্রাম করো। তান্ত্রিকের কাছ থেকে খবর পাওয়ার পর চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে....!
রাজা একজন প্রহরী'কে ইকরি'দের মেহমান খানায় নিয়ে যেতে বললো।
প্রহরী তাদের মেহমান খানায় নিয়ে গেলো। ইকরি বিছানায় বসে পড়লো ঠাস করে। যদি তান্ত্রিক কোনো উপায় খুঁজে না পায় তাহলে তো এটাই শেষ হবে। না জানি আইদ ঐদিকে কেমন আছে......!
**এদিকে ইমন শিকদার সালাম'কে প্রচন্ড ভাবে জখম করে ফেলেছে। সালাম আহত চেহারায় আইদের দিকে তাকিয়ে শুকনো হাসি দিয়ে বললো " উস্তাদ আমার যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে হাকিম'কে বলবেন যেনো দুইটা প্রেম করে একসাথে। একটা ওর নিজের জন্য, আরেকটা আমার জন্য....!
আইদ বললো " কিছু হবে না তোর। আমি এখনো বেঁচে আছি।
এই বলে আইদ খোঁড়াতে খোঁড়াতে পিঠে হাত দিয়ে চেপে ধরে ইমন শিকদারের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।
ইমন শিকদার হাসতে হাসতে বললো " তোমার জন্য আমার মায়া হচ্ছে এখন। আধমরা হয়েও তুমি আমার সামনে দাঁড়িয়েছো আমাকে মারার জন্য.....!
আইদ কিছু না বলে নিজের চোখ বন্ধ করে কিছু একটা পড়তে শুরু করলো। আইদ একটা ভিশন দেখতে পেলো " কথা রংধনুর দুনিয়ায় সাদা থ্রি পিছ পড়ে দোলনায় বসে দোল খাচ্ছে। আশেপাশে হরেক রকম পাখ-পাখালি উড়ে বেড়াচ্ছে, গান করছে।
কথা দোলনা থেকে নেমে এসে ফিসফিস করে বললো " এখন সময় হয়েছে তোমার শক্তি প্রকাশ করার। ইমন শিকদার'কে নিশ্চিহ্ন করে দাও। এতোদিনের তপস্যা করা শক্তি আজকের জন্যই জমা রেখেছো। চোখ খুলো আইদ....!
আইদ ধাপ করে চোখ খুলে তাকালো। আইদের চোখ সম্পুর্ন লাল টকটকে হয়ে গিয়েছে। চেহারায় কালো কালো দাগ ফুঁটে উঠেছে।
ইমন শিকদারও তার পুরো শক্তি নিয়ে আইদের ওপর ঝাপিয়ে পড়লো। দুজনের মাঝে তুমুল লড়াই শুরু হলো। এবার ইমন শিকদার সম্পুর্ন ঘায়েল হয়ে গেলো। আইদের সামনে দাঁড়াতেই পারছে না। আইদ তাকে মারতে মারতে প্রায় শেষ করে ফেলেছে।
ইমন শিকদার কাকুতি মিনতি করে বললো " থামো আইদ। থামো। আর কতো মারবে এই বুড়ো মানুষটাকে....!
আইদ বললো " ৫০০ টাকা ঋণ ভালো তবুও বুড়া মানুষ ভালো না। তুমি দূর থেকে অনেক ষড়যন্ত্র করেছো ইমন শিকদার। এবার। এবার আর কোনো সুযোগ দেয়া হবে না।
ইমন শিকদার কাঁদতে কাঁদতে বললো " তুমি যেমন নিজের চাঁদের পরী'কে ফিরিয়ে আনার জন্য পাগল। আমিও তাই। তাহলে তোমার আর আমার মাঝে পার্থক্য কি আইদ।
আইদ কিছু না বলে চুপ করে রইলো। সালামের দিকে তাকিয়ে দেখলো সালাম ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে। আইদ বললো " আরেকটু ওয়েট কর। আমরা এখান থেকে এখন-ই চলে যাবো....!
তখন-ই ইমন শিকদার সুযোগ বুঝে আইদের ক্ষত স্থানে আঘাত করে বসলো। আইদ মাটিতে লুটিয়ে পড়লো। ইমন শিকদার হাসতে হাসতে দাঁড়িয়ে বললো " এবার দেখা যাবে কে কাকে মারে।
তখন-ই আইদের মনে পড়লো ইমন শিকদারের উচ্চ শব্দে এলার্জি আছে।
সাথে সাথে আইদ সালামের দিকে তাকিয়ে ইশারায় বললো চিৎকার দিতে গলা ফাটিয়ে। ।
ইমন শিকদার কিছু বুঝে উঠার আগেই সালাম তার পুরো শক্তি দিয়ে চিৎকার করে উঠলো। চিৎকারের শব্দে আশেপাশের সবকিছু কাঁপতে লাগলো। ইমন শিকদার নিজের কানে হাত দিয়ে বলতে লাগলো " না এটা করো না। এটা বন্ধ করো...!
এক পর্যায়ে সালাম চিৎকার থামিয়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেলো মাটিতে।
ইমন শিকদারের চোখ ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে আসতে লাগলো। সে জবাই করা মুরগীর মতো এদিক ওদিক দাপরাতে লাগলো। এক পর্যায়ে ইমন শিকদার মাটিতে শুয়ে পড়লো এবং ঘুমিয়ে গেলো।
আইদ অনেক কষ্টে উঠে তাড়াতাড়ি সালামের কাছে গিয়ে বসে সালাম'কে জাগাতে চাইলো " সালাম। এই সালাম। উঠ। কিছু হয় নি তোর। চেখ খোল...!
কিন্তু সালাম কোনো সারা দিলো না। আইদ রেগে বললো " সালাম আমি হুকুম করছি উঠ। তুই না উঠলে কিন্তু তোর জন্য যে মেয়েকে আমি পছন্দ করে রেখেছি তাকেও হাকিমের সাথে দিয়ে দিবো....!
এবার সালাম এক চোখ খুলে বললো " না উস্তাদ। আমার জিনিস আমাকেই দিবেন....!
আইদ হেসে বললো " হারামজাদা। নাটক করিস না এখন। উঠে ইমন শিকদার'কে বেঁধে ফেল। তারপর ইকরি'র আম্মু'কে খুঁজে নিয়ে আয়। এখানেই আশেপাশে কোথাও আছে হয়তো......!
সালাম উঠে প্রথমে ঘুমন্ত ইমন শিকদার'কে বেঁধে ফেললো তারপর গেলো ইকরি'র আম্মু'কে খুঁজতে।
আইদ ইমন রক্তাক্ত ছুরি টা উঠিয়ে নিলো যেটা দিয়ে তাকে আঘাত করা হয়েছিলো।
তারপর সেখানে আগুন জ্বালিয়ে ছুরি টা গরম করে একটা মন্ত্র পড়ে ছুরিটাকে আরো শক্তিশালী করলো।
কিছুক্ষণ পর ইমন শিকদারের ঘুম ভাঙলে সে নিজেকে বাঁধা অবস্থায় দেখলো এবং আইদ ছুরি হাতে তার সামনে বসে আছে।
আইদ বললো " ঘুম ভাঙলো তাহলে।
ইমন শিকদার একটু মুচকি হেসে বললো " তুমি জিতে গেছো আইদ। আমি আমার চাঁদের পরী'কে দেয়া কথা রাখতে পারলাম না। দেরি করো না। আমাকে মুক্তি দাও....!
আইদ বসা থেকে উঠে নিজের ক্ষত স্থানে হালকা চাপ দিয়ে কুঁকড়ে উঠলো। সেখান থেকে এখনো রক্ত বের হচ্ছে। আইদের মাথা কেমন যেনো ঘুরছে। তবুও শক্তি সঞ্চার করে ইমন শিকদারের গলায় ছুরি ধরে বললো " এটাই আমাদের নিয়তি ইমন শিকদার। আমাদের মাঝে যে কোনো একজন-ই জিতবে। তাহলে তৈরী হয়ে নাও...!
ইমন শিকদার চোখ বন্ধ করে রান্তিয়া'কে স্মরণ করলো। রান্তিয়া'র পরীর মতো মুখটা তার চোখে ভেসে উঠলো। রান্তিয়া'র হাসি, কথা বলার ভঙ্গি, অভিমান সবকিছু এক এক করে ভাসতে লাগলো। ইমন শিকদার একটু হাসলো।
আইদ ছুরি চালিয়ে দিলো ইমন শিকদারের গলায়। ধীরে ধীরে ইমন শিকদার আগুনের ফুলকির মতো হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো।
আইদ সেখানে নিচের দিকে মাথা দিয়ে বসে রইলো। কিছুক্ষণ পর সালাম ইকরি'র আম্মু'কে ছাড়িয়ে নিয়ে সেখানে এসে দেখলো আইদ হাঁটু গেড়ে নিচের দিকে মাথা দিয়ে বসে আছে।
সালাম ডাক দিলো " উস্তাদ নিয়ে এসেছি উনাকে। চলেন এখন...!
কিন্তু আইদ কোনো সারা দিলো না। সালাম একটু চিন্তিত হয়ে এগিয়ে গেলো। আবার ডাক দিলো " উস্তাদ......
কিন্তু সারা নেই আইদের। সালাম আইদের কাঁধে হাত দিতেই আইদ ধপাস করে লুটিয়ে পড়ে গেলো মাটিতে। সালাম চিৎকার করে উঠলো " উস্তাদ..........
**এদিকে আমরা দেখতে পাই তান্ত্রিক আর তার একজন শিষ্য অনেক চেষ্টা করেও অন্য উপায় খুঁজে পেলো না। তান্ত্রিক হতাশ হয়ে তার শিষ্যকে বললো " আমাদের সময় শেষ। রাজাকে গিয়ে জানাতে হবে। তুমি এখানে থাকো। আমি রাজ দরবারে যাচ্ছি....!
রাজ দরবারে পৌঁছে তান্ত্রিক রাজাকে জানালো কোনো উপায় খুঁজে পাওয়া যায় নি। রাজা অনেক হতাশ হলো। ইকরি এবং হাকিমরা'ও একদম ভেঙে পড়লো্ তার মানে এখন একটাই পথ। ইকরি'র মৃত্যু।
রাজা ইকরি'র কাছে এসে বললো " তোমার কথা মতো আমরা চেষ্টা করে দেখেছি। কিন্তু আমাদের চেষ্টা বিফল হয়ে গেলো। ঐ একটাই পথ চাঁদের পরী'কে ঠেকানোর। তোমাকে মরতে হবে। যাতে চাঁদের পরী ফিরে আসার কোনো মাধ্যম-ই না থাকে...!
হাকিম চিৎকার করে উঠলো " না আমি এটা হতে দিবো না রাজা মশাই। দরকার হলে আমি আপনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবো। তবুও আপনাকে এটা করতে দিবো না আমি।
রাজা শান্ত গলায় বললো " যদি অন্য কোনো উপায় থাকতো তাহলে দরকার হলে আমি আমার রাজত্ব ছেড়ে দিতাম। তবুও ইকরি'কে বাঁচাতাম আমি। কিন্তু আমার হাতে আর কোনো রাস্তা খোলা নেই বাছা...!
ইকরি বললো " ঠিক আছে মহামান্য রাজা। আপনি আমাকে মেরে ফেলেন। হয়তো আমার মৃত্যুর পর চাঁদের পরী ফিরে আসার জন্য অন্য কোনো উপায় খুঁজে নিবে। না হলে আমার মতো আরেকজন জন্ম নিবে। আপনি তাকেও মেরে ফেলবেন। এই মৃত্যুর মিছিল কখনও বন্ধ হবে না। এটা চলতেই থাকবে.....!
রাজা নিরুপায় হয়ে নিচের দিকে মাথা করে জল্লাদ'কে বললো ইকরি'কে নিয়ে যেতে। হাকিম বাঁধা দিতে চাইলে হাবিবা তাকে থামিয়ে দিয়ে বললো " এখন আর কিছুই করার নেই চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া...!
জল্লাদ ইকরি'কে নিয়ে বলি দেয়ার জায়গায় নিয়ে মাথা নুইয়ে দিলো। রাজা মন খারাপ করে অন্য দিকে তাকিয়ে আছে। রাজা বিড়বিড় করে বলছে " জীবনে অনেক হত্যা করেছি। কিন্তু আজকে আমার বুক ভারী হয়ে আসছে কোন জানি না। আমি নিজ চোখে এই মেয়েটার মৃত্যু মানতে পারছি না।
জল্লাদ তার লম্বা তলোয়ারটা উঠিয়ে দাঁড়িয়ে আছে রাজার হুকুমের অপেক্ষায়। রাজ দরবারে সবাই নিশ্চুপ হয়ে তাকিয়ে আছে আরো একটা মৃত্যু দেখার জন্য।
রাজা নিজেকে শান্ত করে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে হুকুৃম দেয়ার জন্য প্রস্তুত হলো................
To be continue..............
GalibAbraara
🔴
Steps to Get Link 🔗
এই লিঙ্কটি পেতে চাইলে আগে নিচের বিজ্ঞাপনটি ক্লিক করুন।
Click Ad
1. Click on Ad ⬆
2. Wait for 5 seconds
3. Come Back Here
Ad Clicked! Please wait 5 seconds...
--------