ভূত ও পিশাচ কাহিনী ছোট গল্প ফারিশতা 2nd_Part

আপনার লিংকটি তৈরী হচ্ছে

---------
ব্রিঃদ্রঃ গল্পটিতে কপিরাইট রয়েছে। (সংগ্রহিত)
⚠

#Warning : দুর্বল হৃদয়ের হলে পোষ্টটি Skip করতে পারেন।

 গল্পঃফারিশতা

2nd_Part

তালিফ ঘুম থেকে উঠে চিৎকার করতে লাগলো। তার মানে ঐটা তালিফে'র দুঃস্বপ্ন ছিলো। । 

তালিফে'র চিৎকার শুনে সবাই চলে আসলো। তালিফে'র বাবা তালিফ'কে শান্ত করে বললো " কি হয়েছে বাপ। আমাকে বল...!

তালিফ কাঁপতে কাঁপতে বললো " বাবা দাদীর বলা সেই ছায়া আমার রুমে। খাটের নিচ থেকে আমার পা চেপে ধরছে। 

এটা শুনে দাদী হাসতে হাসতে বললো " আরে বুদাই পোলা। আমি তো ইয়ার্কি কইরা কইছিলাম। 

তালিফে'র বাবা মাও হাসতে লাগলো।

তালিফ রেগে বললো " এই জন্যই কোনো এক মহাপুরুষ বলেছিলো বুইড়া মানুষ আর সাপ। যেখানেই দেখবা পিটিয়ে মেরে ফেলবা.....!

তালিফে'র বাবা হাসতে হাসতে বললো " ঠিক আছে এখন ঘুমিয়ে পড়। অনেক রাত হয়েছে। সকালে উঠে শহরে রওয়ানা হতে হবে....! 

তালিফ বললো " না বাবা। আজকে তুমি আমার সাথে ঘুমাও। না হলে আমি শেষ। আমার এখনও মনে হইতাছে খাটের নিচে কেউ আছে....!

তালিফে'র মা বিরক্ত হয়ে বললো " তোমরা বাপ ছেলে মিলে যা খুশি করো। আমি গেলাম ঘুমাতে। আম্মা আপনিও আসেন। এদের জন্য আমাদের ঘুম নষ্ট করে লাভ নেই....!

দাদী যেতে যেতে বললো " দেখিস তোর বাপের ছল ধইরা  অন্য কেউ থাকতে পারে। সাবধান.....

তালিফ ভয়ে তার বাবা'কে জড়িয়ে ধরলো। তালিফে'র বাবা বললো " মা কি শুরু করছো। যাও তো তোমরা। 

তালিফ বললো " ৫০০ টাকা ঋণ ভালো তবুও বুইড়া মানুষ ভালো না। কালকেই যামু গা এই বাড়ি ছাইড়া। তখন দেখমু এই বুড়ি কাকে ভয় দেখায়....!

দাদী আর তালিফে'র মা হাসতে হাসতে চলে গেলো। তালিফ তার বাবা'কে জড়িয়ে ধরে বাচ্চাদের মতো শুয়ে আছে। তালিফে'র বাবা ভাবছে আমি যখন থাকবো না তখন এই রাতের অন্ধকার তো আমার ছেলেটাকে মেরে ফেলবে। আল্লাহ আমাকে ততোদিন পর্যন্ত হায়াত দিও যতদিন আমার ছেলে এই ভয় কাটিয়ে উঠতে না পারে।

এদিকে আমরা দেখি সত্যি সত্যি খাটের নিচে ভয়ংকর এক কালো ছায়া। সেটা ধীরে ধীরে খাটের নিচ থেকে বের হয়ে পুরো ঘরে এদিক ওদিক ছুটতে লাগলো। মনে হচ্ছে সে কিছু একটা করতে চাচ্ছে কিন্তু সেটা পারছে না। তালিফে'র বাবার ঘুমন্ত চেহারার সামনে ছায়াটা এসে দাঁড়িয়ে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছে। কিছুক্ষণ পর ছায়াটা তার হাত বাড়িয়ে দিলো তালিফে'র বাবার দিকে।  হাত টা মাথায় রাখতেই ছায়া টা ধোঁয়ার মতো তালিফে'র বাবার নাক দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে গেলো। সাথে সাথে তালিফে'র বাবা ধাপ করে চোখ খুলে ফেললো। তার চোখ ভয়ংকর রকম লাল আগুনের মতো জ্বলছে। সে পাশে ঘুমন্ত তালিফে'র দিকে তাকিয়ে রহস্যময় এক হাসি  দিলো......!

**এদিকে ফারিশতা পৃথিবীতে চলে এসেছে। জঙ্গল থেকে হাঁটতে হাঁটতে বের মেইন রাস্তায় এসে দাঁড়িয়ে আছে। আশেপাশে গাছপালা ছাড়া আর কিছুই নজরে আসছে না। ফারিশতা নিজের হাত উঁচু করে উড়ে যাওয়ার চেষ্টা করলো। কিন্তু মনে পড়লো তার সকল শক্তি তো কেড়ে নেয়া হয়েছে। ফারিশতা'র পরনে মানুষের মতই সাধারণ পোশাক। চোখের নীলচে ভাবটাও গায়েব হয়ে গিয়েছে। 

ফারিশতা খেয়াল করলো একটা গাড়ি আসছে এদিকেই। ফারিশতা হাত দিয়ে ইশারা করলো গাড়ি থামানোর জন্য। এটা ছিলো একটা গরু ছাগল শহরে নিয়ে যাওয়ার ট্যাম্পু গাড়ি। ড্রাইভার গাড়ি বোঝাই করা ছাগল নিয়ে শহরে যাচ্ছে বিক্রি করার জন্য। হঠাৎ সে খেয়াল করলো দূরে একটা মেয়ের মতো কেউ দাঁড়িয়ে গাড়ি থামানোর ইশারা করছে। একটু সামনে গিয়ে বুঝতে পারলো এটা সত্যিই একটা মেয়ে। শুধু মেয়ে না। এটা তো পরী।

এতো রাতে এই সুন্দরী মেয়ে দেখলে অন্ধও গাড়ি থামিয়ে তাকে লিফ্ট দিবে। ড্রাইভারও গাড়ি থামিয়ে বললো " আরে এতো সাক্ষাৎ আসমান থেইক্যা নাইমা আসা ফরী। কই যাইবেন আফনে....!

ফারিশতা খুব স্বাভাবিক ভাবেই বললো " আমি জাহাঙ্গীরনগর যাবো। আপনি কি আমাকে সেখানে নিয়ে যাবেন দয়া করে...!

ড্রাইভার ভরকে গিয়ে বললো " জাহাঙ্গীরনগর। এইডা আবার কুন জায়গা। এই নামে তো কুনো জায়গা নাই।

ফারিশতা বললো " আছে এই নামে জায়গা। এটা এখানের রাজধানীর নাম। আপনি হয়তো জানেন না....!

ড্রাইভার একটু ভেবে বললো " ও আইচ্ছা। আফনে ঢাকা যাইবেন। জাহাঙ্গীরনগরের নাম বদলাইয়া ঢাকা হইছে তো মেলা আগে। আফনে কোথা থেকে আইছেন...?

ফারিশতা গাড়িতে উঠে বললো " হ্যাঁ আমাকে ঢাকা নিয়ে চলেন। আমি সেখানেই যেতে চাই...!

ড্রাইভার একটু সন্দেহ করলো মেয়েটা কি সত্যিই মানুষ নাকি। তাই সে আঙুল এগিয়ে নিলো ফারিশতা'র গালে স্পর্শ করে দেখার জন্য। ফারিশতা খপ করে তার আঙুল ধরে বললো " এখন পৃথিবীতে কতো সাল চলছে...?

ড্রাইভার ভয় পেয়ে বললো " আঙুল টা ছাড়েন আপা। আফনে যেইহানে যাইতে চাইবেন আমি নিয়া যামু। আর এহন পৃথিবীতে ১৯৯৮ সাল চলছে....!

ফারিশতা তার আঙুল ছেড়ে দিয়ে বললো " ওও আচ্ছা। তার মানে অনেক সময় কেঁটে গিয়েছে এর মাঝে। শেষবার যখন আমি পৃথিবীতে এসেছিলাম তখন ১৬১৩ সাল চলছিলো। তখন এখানে রাজত্ব করতো মুঘল'রা। 

ড্রাইভার ফারিশতা'র কথার আগা মাথা কিছুই বুঝতে পারছে না তবে এতটুকু বুঝে গেছে যে পাশে বসে থাকা মেয়েটা সাধারণ কেউ না। ড্রাইভার ভয়ে ভয়ে গাড়ি চালাচ্ছে। আর প্রচুর ঘেমে যাচ্ছে। 

ফারিশতা বিষয়টা লক্ষ্য করে বললো " ভয় পাবেন না। আমি এখন আপনার মতই সাধারণ একজন মানুষ.........!

তারপরদিন সকালে সেই জায়গায় পুলিশ এবং মিডিয়ার কর্মীরা এসে ভীর জমিয়েছে যেখানে রাতে ফারিশতা'কে নামিয়ে দেয়া হয়েছিলো। সেখানের অবস্থা অনেক খারাপ। গাছপালা ভেঙে পড়ে আছে। বিশাল এক গর্ত তৈরি হয়েছে। সবাই বলা বলি করছে এখানে রাতের বেলা হয়তো এলিয়েন ল্যান্ড করেছিলো। পুলিশ জায়গাটিকে সম্পুর্ন ভাবে সিলগালা করে রেখেছে। 

তখন-ই পুলিশ ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী'র ওয়াকিটকি-তে খবর আসলো একটু সামনেই একটা ছাগল বোঝাই ট্যাম্পু গাড়ি এক্সিডেন্ট হয়েছে। 

লিয়াকত  সেখানে কিছু কনস্টেবলকে পাহাড়ায় রেখে তাড়াতাড়ি ছুটে গেলো এক্সিডেন্ট স্পটে। সেখানে গিয়ে লিয়াকত আলী'র মাথা চড়কগাছ। এতো গুরুতর এক্সিডেন্ট এর আগে কখনও হয় নি। ট্যাম্পু চালকের শুধু মাথা টা পড়ে আছে। আর গাড়িতে থাকা ছাগল গুলোরও একই অবস্থা। শুধু মাথা গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। মনে হচ্ছে কোনো এক হিংস্র প্রাণী এদের শরীর খেয়ে নিয়েছে। লিয়াকত মুখে মাস্ক পড়ে জায়গাটা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করছে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় কি না। খুঁজতে খুঁজতে লিয়াকত একটা কানের দূল পড়ে থাকতে দেখলো। এটা তো মেয়েদের কানের দুল। তাহলে এখানে একটা মেয়েও ছিলো। কে সে। ভিকটিম নাকি ক্রিমিনাল। লিয়াকত আলী কানের দূল টা পকেটে পুরে নিলো.......!

**এদিকে তালিফ তার বাবা'র সাথে সকালে উঠে ব্যাংকে এসেছে। কারণ তালিফ শহরে চলে যাবে তাই কিছু টালা তুলে তালিফে'র হাত খরচের জন্য দিতে হবে। ব্যাংকের সাদা কালো টেলিভিশনে জঙ্গলে এলিয়েন নামার খবর টা প্রকাশ করা হচ্ছে। সাথে সেই ভয়ংকর এক্সিডেন্টের খবর। ধারণা করা হচ্ছে জঙ্গলের ঐ অদ্ভুত গর্তের সাথে এই এক্সিডেন্টের কোনো যোগসূত্র অবশ্যই আছে...।

তালিফ এটা দেখে বললো " আচ্ছা বাবা এলিয়েন কি সত্যি-ই আছে। হতে পারে এই গর্ত বা গাছপালা ভাঙার ব্যাপার টা কোনো হিংস্র প্রাণী করেছে। 

তালিফে'র বাবা বললো " না তালিফ। পৃথিবী ছাড়াও লক্ষাধিক গ্রহ উপগ্রহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এই মহাবিশ্বে। আর সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব আছে সেটা কোরআন দ্বারা প্রমাণিত। তাই আমাদের এটা অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে....!

তালিফ বললো " আচ্ছা বুঝলাম। তার মানে এলিয়েন এসেছে পৃথিবীতে। আমার সাথে যদি তার দেখা হয় তাহলে এক টাকায় তাদের গ্রহে কয়টা চকলেট পাওয়া যায়....!

তালিফে'র বাবা হেসে বললো " ধূর। এখন চল টাকা উঠিয়ে নিই। তোর দেরি হয়ে যাচ্ছে। বাস চলে আসবে দুপুরের পর-ই।

তালিফ দেখলো ব্যাংকের কাউন্টারে একজন কালো কুচকুচে লোক বসে আছে।

তালিফ গিয়ে বাবা-র কানে ফিসফিস করে বললো " বাবা এই লোকটা মনে হয় ব্ল্যাক মানির দায়িত্বে আছে। দেখো কেমন কালার কালা। কালো রং মনে হয় একে দেখেই আবিস্কার হয়েছে...!

তালিফে'র বাবা তার মাথায় টোকা দিয়ে বললো " চুপ কর হারামি। মানুষকে এভাবে বলতে হয় না। 

তালিফ বসে রইলো টুলে। তালিফে'র বাবা টাকা তুলে এসে তালিফ'কে নিয়ে বের হলো ব্যাংক থেকে। তখন-ই এক ভিক্ষুক এসে বললো " তুই আমারে ২ টাকা দিলে আল্লাহ তোরে ৫ ট্যাকা দিবো। আল্লাহর নামে দে ২ ট্যাকা.....!

তালিফ বললো " ঠিক আছে। আপনি আল্লাহর কাছে ৫ টাকা চান। ৩ টাকা আমাকে দিয়ে ২ টাকা আপনি রেখে দিয়েন....!

ভিক্ষুক একটু ভরকে গিয়ে বললো " ফকিরের লগে মজা নিস না বাছা৷ তাইলে বরবাদ হয়ে যাবি। 

তালিফে'র বাবা ভিক্ষুক'কে ধমক দিয়ে বললো " একেতো হাত পা সব সালামাত আছে, করোস ভিক্ষা। আবার আল্লাহর নাম ব্যবহার করে এমন উদ্ভট ভাবে টাকা চাস মানূষের কাছে। তুই কি যাবি এখান থেকে নাকি আমি পাথর উঠাবো...!

এই বলে তালিফে'র বাবা চারপাশে পাথর খুঁজতে লাগলো। এটা দেখে ভিক্ষুক উল্টে পাল্টে দৌঁড়। তালিফ হাসতে লাগলো তার দৌঁড় দেখে।

তালিফে'র বাবা বললো " এই একটা সমস্যা। সামনে কু*ত্তা থাকলে পাথর পাই না। আর পাথর থাকলে কু*ত্তা পাই না....!

তালিফ তার বাবা-র হাত ধরে বললো " থাক হয়েছে হয়েছে। কুল বাবা কুল। এখন বাসায় চলো। আমার রেডি হতে হবে। দুপুর তো প্রায় হয়ে এলো।

তালিফে'র বাবা হঠাৎ করেই কেমন যেনো অসুস্থতা অনুভব করতে লাগলো। চারপাশের সবকিছু যেনো ঘুরছে। পেটের ভিতর থেকে কিছু একটা উল্টে বের হয়ে আসতে চাচ্ছে। মস্তিষ্কের মাঝে গুনগুন শব্দ করে কেউ অদ্ভুত ভাষায় গান গাইছে। 

তালিফ খেয়াল করলো তার বাবা কেমন যেনো এলোমেলো ভাবে হাঁটছে। এই বুঝি পড়ে যাবে।

তালিফ তাড়াতাড়ি গিয়ে তার বাবা'কে ধরতেই সব স্বাভাবিক হয়ে গেলো। তালিফ জিজ্ঞেস করলো " কি হয়েছে বাবা। তোমার কি কোনো সমস্যা হচ্ছে...?

তালিফে'র বাবা দেখলো এখন সব স্বাভাবিক। আর কিছুই শুনা যাচ্ছে না। মাথাও ঘুরছে না। 

তাই বললো " না আমি ঠিক আছি। তাড়াতাড়ি চল বাসায়....!

তালিফও আর তেমন মাথা ঘামালো না। বাসায় পৌঁছে তালিফ ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশরুমে ঢুকে দেখলো তেলাপোকা উল্টো হয়ে পড়ে পিঠের ব্যায়াম করছে। তালিফ সেটাকে পা দিয়ে উল্টে দিয়ে বললো " নে তুই আগে কর। তারপর আমি করবো....!

তালিফে'র দাদী বাইরে থেকে বললো " কিরে তুই টাট্টিতে যাইয়া কার লগে কথা কস।

তালিফ চিৎকার করে বললো " দাদী তোমারে কতোবার বলছি এসব আজগুবি শব্দ বলবা না৷ এটাকে টাট্টি বলে না৷ ওয়াশরুম বলে....!

দাদী দাঁতের ফাঁকা থেকে খুঁচিয়ে পান বের করতে করতে বললো " টাট্টিতেও যেই কাম। তোর ওশাররুমেও হেই কাম। একটা কইলেই হয়। 

তালিফ আর কিছু না বলে রাগে তেলাপোকাকে লাথি দিয়ে সরিয়ে বললো " কিছু না করলে এহানে বসে আছোস কেন। তোর জন্য বুড়ির কথা শুনা লাগলো আমার.....!

**এদিকে ফারিশতা ঝিল-এর কিনারে বসে নিজের মুখ থেকে রক্ত পরিষ্কার করছে পানি দিয়ে। ফারিশতা'র জামাতেও ছুপ ছুপ রক্ত লেগে আছে। 

ফারিশতা চারদিকে চোখ বুলালো। তারপর খপ করে একটা মাছ ধরে ফেললো ঝিল থেকে।

কাচুমাচু করে তাড়াতাড়ি মাছটা খেয়ে নিলো কাঁচা। তারপর ঝিল থেকে উঠে এসে নিজের কানে হাত দিয়ে দেখলো এক কানে দুল নেই। তার মানে এটা সেই দূর্ঘটনা  স্থলে রয়ে গেছে। 

ফারিশতা তাড়াতাড়ি সেখানে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হলো। কিন্তু নিজের দিকে তাকিয়ে দেখলো জামায় রক্ত লেগে আছে। এভাবে গেলে মানুষ সন্দেহ করে বসবে। কি করা যায় এখন। ভাবতে ভাবতে ফারিশতা দেখতে পেলো একটু দূরেই একটা ছোট বাড়ির বাইরে দঁড়ি টাঙিয়ে কাপড় রৌদ্রে দেয়া আছে। 

ব্যাস টুং করে সেখান থেকে সেগুলো গায়েব হয়ে গেলো।

আমরা দেখতে পাই সেই বাড়ি থেকে এক বৃদ্ধ লোক বের হয়ে বাইরে রৌদ্রে দেয়া তার পাঞ্জাবি আর লুঙ্গি না দেখে হা করে রইলো। 

এদিকে ফারিশতা সেই পাঞ্জাবি আর লুঙ্গি পড়ে রাস্তা দিয়ে হেলেদুলে হাঁটছে। ফরিশতা এখনো জানে না এগুলো পুরষদের জামা কাপড়। ফারিশতা খেয়াল করলো যে তাকে দেখছে সে-ই হাসছে। এর কারণ ফারিশতা বুঝতে পারলো না। তাই ফারিশতাও সবার দিকে তাকিয়ে বাঙ্গির মতো হেসে দিচ্ছে। 

হাঁটতে হাঁটতে সেই দূর্ঘটনার স্থানে গিয়ে পৌঁছালো ফারিশতা কানের দুল খোঁজার জন্য। গিয়ে দেখলো জায়গাটা সিল গালা করে রাখা হয়েছে। দুইজন পুলিশ কনস্টেবল ছাগলের মাথা গুলো সংগ্রহ করে বস্তায় ভরে নিচ্ছে। 

ফারিশতা কোনো কিছু না বলেই সিল গালা করা সূতো ছিঁড়ে সেখানে প্রবেশ করলো। এটা পুলিশ কনস্টেবলের চোখে পড়লে দৌঁড়ে গিয়ে বললো " এই কে আপনি। এই জায়গায় জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ। তাড়াতাড়ি বের হয়ে যান।

ফারিশতা ঘাড় বাঁকা করে বললো " জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ। কিন্তু আমার না। আমি এখানে আমার হারিয়ে যাওয়া জিনিস খুঁজতে এসেছি।

আরেকজন কনস্টেবল এগিয়ে এসে ফারিশতা'র জামা কাপড়ের হাল দেখে ভাবলো মেয়েটা হয়তো পাগল টাগল হবে। তাই সে তার কলিগ-কে বললো " থাক আমরা আমাদের কাজ করি। মেয়েটা হয়তো পাগল। ওর মতো ও চলে যাবেই....!

এই বলে তারা দুজন চলে গেলো আবার ছাগলের মাথা সংগ্রহ করতে। ফারিশতা তার কানের দুল খুঁজতে লাগলো এদিক ওদিক তাকিয়ে। কিন্তু কোথাও সেটা খুঁজে না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে গেলো। 

রাস্তায় গিয়ে একটা যাত্রীবাহী গাড়ি থামিয়ে তাতে উঠে বসলো। হেলপার ভাড়া নিতে এসে জিজ্ঞেস করলো কোথায় যাবেন আপা....?

ফারিশতা তার দিকে না তাকিয়েই বললো " জাহাঙ্গীরনগর.........!

**এদিকে তালিফ শহরে যাওয়ার জন্য প্রায় রেডি কিন্তু তার বাবা'কে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

তালিফ তার বাবা'কে খুঁজছে আর বিড়বিড় করে বলছে " এখন আবার বাবা কোথায় গেলো। আমার যে বাস এসে যাবে কিছুক্ষণের মাঝে। এটলিষ্ট বলে তো যাবে কোথাও গেলে।

খুঁজতে খুঁজতে তালিফ দেখলো তার বাবা তাদের পারিবারিক কবরস্থানে তালিফে'র দাদার কবরের সামনে দাঁড়িয়ে এক মনে কিছু একটা বলে যাচ্ছে। 

তালিফ একটু ভয় পেয়ে পেছন থেকে ডাক দিলো " বাবা.....

বাবা পেছনে তাকিয়ে অদ্ভুত একটা হাসি দিয়ে বললো " তালিফ তুই কি বিশ্বাস করোস মৃত মানুষ কখনও ফিরে আসে না....!

তালিফ অবাক হয়ে বললো " হঠাৎ এসব কি ধরনের কথা বাবা। বাসায় আসো তো। আমার যে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে সেই খবর আছে...!

বাবা নিজের মতই বলে উঠলো " শুধু মৃত মানুষ না, কখনও কখনও জীবিত মানুষও ফিরে আসে না একবার হারিয়ে ফেললে.............

Galib Abraar

🔴 Steps to Get Link 🔗

Click Ad

1. Click on Ad ⬆
2. Wait for 5 seconds
3. Come Back Here

Ad Clicked! Please wait 5 seconds...


--------