আপনার লিংকটি তৈরী হচ্ছে
ব্রিঃদ্রঃ গল্পটিতে কপিরাইট রয়েছে। (সংগ্রহিত)
#Warning : দুর্বল হৃদয়ের হলে পোষ্টটি Skip করতে পারেন।
গল্পঃ ভয়ংকর_বাচ্চার_আওয়াজ
পার্টঃ ০৩
মৌসুমি_আক্তার
নিরা বলে তুমি কি পাগল হয়ে গেছো কি বারবার শাড়ি পরা শাড়ি পড়া বলে যাচ্ছো যে মেয়েটির হাফ প্যান্ট আর গেঞ্জি পরা রয়েছে? রুদ্র খেয়াল করে দেখে মেয়েটি হেঁটে যাওয়ার সময় রক্তের দাগ হতে হতে যাচ্ছে আবার সাথে সাথে তা বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
ও ভাবছে সেটা তার মনের ভুল নাকি হাবিজাবি দেখছে সে। মনে মনে ভাবছে এসব কি হর হর মুভি দেখার ফলে এরকম হচ্ছে মুভি দেখেছে বলে এরকম ভুলভাল দেখছে।রুদ্রর ফেভারিট হরর মুভি।রুদ্র কোন আত্মা ভূত প্রেত কিছুই বিশ্বাস করে না ।
রুদ্র বিষয়টা এড়িয়ে গিয়ে নীরাকে বলে আচ্ছা তুমি যখন বলছো মেয়েটির হাফপ্যান্ট পরা গেঞ্জি পরা থাকে ঠিক আছে তাহলে তুমি ওর সাথে একটি সেলফি তুলে এনে আমাকে দেখাবে তাহলে আমি বিশ্বাস করব। নিরা বলে আচ্ছা ঠিক আছে আমি এখনই যাচ্ছি নিরা গুটিগুটি পায়ে ওই মেয়েটির রুমের দিকে যায় এবং রুমের কাছে গিয়ে নীরার বুক কেঁপে উঠে ভয়ে নীরা খেয়াল দিয়ে শোনে রুমের ভিতরে দুজন কথা বলছে আর খুব হাসাহাসি করছে।
নীরার কাছে অবাক লাগে যে মেয়েটি এখনো পর্যন্ত কোনো কথা বলেনি সে এভাবে হাসছে কার সাথে কথা বলছে। নীরা দরজায় কান লাগিয়ে শুনে একটি বাচ্চার সাথে কথা বলছে আর খুব হাসাহাসি করছে। নীরা দরজার একটা ছিদ্র দিয়ে উঁকি মেরে দেখে সাদা শাড়ি পরা একটা মহিলা লম্বা চুল যে মহিলাকে নীরা বাথরুমে দেখেছিলো সেই মহিলা দাঁড়িয়ে আছে একটি বাচ্চাকে উপরদিকে দিচ্ছে আবার নামাচ্ছে।তার সাথে খেলা করছে খুব হাসাহাসি করছে।
নীরা খুব ভয় পেয়ে যায় এখানে এই মহিলা কিভাবে আসলো আর এই বাচ্চা কে? আমি যে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনতে পায় এটা তো সেই কন্ঠে হাসছে সেই বাচ্চা।
এরপর নীরা দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে,, নীরা রুমের ভিতরে প্রবেশ করেছে তখন মহিলা ওই বাচ্চার সাথে খেলা করছে আর হেসে যাচ্ছে প্রচন্ড জোরে হাসছে ওর হাসির শব্দে নীরা পাগল হয়ে যাচ্ছে। সাথে সাথে ঐ মহিলা হাওয়া হয়ে যায়। এরপর ওয়াস রুমের দরজা খোলার শব্দ হয়। নিরা তাকিয়ে দেখে সেই হাফ প্যান্ট আর গেঞ্জি পরা মেয়েটির রুম থেকে বেরোচ্ছে।
একি তুমি তুমি ওয়াশরুমে ছিলে তাহলে এখানে কে দাঁড়িয়ে বাচ্চা নিয়ে খেলছিলো। আমিতো ভাবছি এখানে তুমি ছিলে কিন্তু তুমি যদি ওয়াশরুমে থেকে থাকো তাহলে এই মহিলা কে এই বাচ্চা কে। তখন মেয়েটি কোনো কথা বলে না কোন উত্তর দেই না মেয়েটির শরীরে এখনো বরফের ন্যায় ঠান্ডা আছে।
তখন নিজের মাঝেই কেমন একটা সন্দেহ হয় এই মেয়েটির মাঝে কোন সমস্যা আছে। তা না হলে এই মেয়েটি কেন কোন কথা বলে না এই মেয়েটির সাথে ওই বাচ্চার শাড়ি পরা মহিলা নিশ্চয়ই কোন না কোন কানেকশন আছে। তখন নীরা ওই মেয়েটির অগচরে মেয়েটির একটা ছবি তুলে এবং সেটা নিয়ে রুদ্রকে দেখায় নীরা দেখে কোনো ছবি নেই।রুদ্র বলে কোথায় তুমি ছবি তুলেছো!
নীরা দেখে বিছানা বিছানার আশেপাশে সবকিছু আছে শুধু মেয়েটির ছবি ক্যামেরায় উঠেনি। তখন নীরা রুদ্রকে বলে রুদ্র এই মেয়েটির মাঝে কোন না কোন ঝামেলা আছে দেখো সবকিছু উঠেছে শুধু এই মেয়েটির ছবি উঠেনি। তখন রুদ্র বলে তুমি ছবি উঠানোর সময় মেয়েটি তখন ওখানে ছিল না রুদ্র যে মেয়েটির রক্তছাপের পা দেখেছে সেটা নীরাকে বলছে না কারণ এরা ভয় পেয়ে যাবে তাই।
এখন রুদ্রর সন্দেহ হচ্ছে এই মেয়ে টি কোনো অশরীরী আত্মা হবে তা না হলে আর কেউ না। কিন্তু মেয়েটি আমাদের সাথে কেন এসেছে আমাদের পিছে কেনো লেগেছে সেটাই বুঝতে পারছেনা রুদ্র। রুদ্র নীরাকে বুঝায় তুমি টেনশন করো না আমি কাল এর একটা ব্যবস্থা করবো বলে নীরাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ে যাতে নিলা ভয় না পায়।
ঘুমের মাঝে হঠাৎ তাদের দুজনের মাঝে একটি বাচ্চা। রুদ্র আর নীরা দুজনেই দেখে যে একটি বাচ্চা তাদের মাঝে শুয়ে খেলা করছে। সদ্যজাত একটি শিশু,, যখন নীরা রুদ্র দুজনে উঠে বসে নিরা ভয় পেয়েছে খুব।রুদ্র বাচ্চা কোথা থেকে আসলো ।নীরা রুদ্র দেখলো বাচ্চাটি ওখান থেকে উঠে হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে চলে যাচ্ছে নির্বিশেষে দেখে ওই মেয়েটির রুমে ওই বাচ্চাটা প্রবেশ করে।
রুদ্র অনেক সাহসী ছেলে তাই এসব বিষয়ে ভয় পেলেও অতটা মালুমে আনছে না। পরের দিন সকাল হয়ে গেলো নীরা নাস্তা রেডি করে। মেয়েটি খাবার খেতে আসে না কারো সাথে কথা বলে না ওই রুমে চুপচাপ বসে থাকে। সকাল গড়িয়ে দুপুর বারোটা বেজে গেছে নিরা খেয়াল করে মেয়েটির রুম থেকে বেরিয়ে কোথাও যেন একটা যাচ্ছে। নীরা দেখলো মেয়েটি পাহাড়ে একটি কবরের কাছে গেছে যেন একটা নবজাতক শিশুর কবর কবরে একটা ফুল ফুটেছে।
মেয়েটি কবরে হাত বুলাচ্ছে আর খুব কাঁদছে। নীরার তখন খুব সন্দেহ হয় এই কবরে হাতগুলো আর কাঁদছে কেন এই মেয়েটি। মেয়েটির পাশেই আরেকটি বড় কবর মেয়েটিকে ঐ কবরের উপর শুয়ে পড়ার সাথে সাথে মেয়েটির বিলীন হয়ে গেল মানে মেয়েটি কবরের মাঝে চলে গেল। তাখন নীরার সন্দেহ হয় এই কবরটি তাহলে কি এই মেয়েটির তাহলে মেয়ে টি জীবিত ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিভাবে?
নীরা ওখান থেকে ভয়ে পালাতে পালাতে রুদ্রর কাছে চলে আসে রুদ্রকে যখনই ঘটনার কথা বলবে তখন দেখে নীরা রুদ্র ওই মেয়েটির পাশে বসে আছে। তখন নীরা আরো বেশী ভয় পেয়ে যায় যে মেয়েটি এখানে কিভাবে আসলো?
নিরা রুদ্রকে বলে রুদ্র ওই মেয়েটি ওই কবরের মাঝে চলে গেছে।তখন রুদ্র বলে তুমি পাগল মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে আমি সেবাযত্ন করছি।মেয়েটি আমার সামনে ঘন্টা খানিক আছে।
চলবে???
🔴 Steps to Get Link 🔗
1. Click on Ad ⬆
2. Wait for 5 seconds
3. Come Back Here
Ad Clicked! Please wait 5 seconds...